তারাবির নামাজের দোয়া: অর্থ ও গুরুত্ব
রমজান মাস মুসলিমদের জন্য এক মহিমান্বিত মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মুসলিমগণ বিশেষ কিছু আমল করেন। এর মধ্যে তারাবির নামাজ অন্যতম। এ নামাজে কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া, এবং আল্লাহর প্রশংসা করে তাকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা করা হয়। তারাবির নামাজের শেষে সাধারণত বিশেষ একটি দোয়া পড়া হয় যা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়। আজকের আলোচনায় আমরা এই দোয়া, তার অর্থ, এবং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
তারাবির নামাজের দোয়া
তারাবির নামাজের শেষে প্রায়শই নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়া হয়:
দোয়া:
اللَّهُمَّ إنَّكَ عَفُوٌ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
অর্থ:
“হে আল্লাহ! আপনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।”
তারাবির দোয়ার গুরুত্ব
১. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা: এই দোয়ার মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তার অপরাধের জন্য তাওবা করে। আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং তিনি তার বান্দার ক্ষমা প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হন।
২. নির্দোষ হয়ে উঠা: এই দোয়া পড়ে মানুষ তার গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের আশা করে। তারাবির নামাজের প্রতি রাকাতে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর কালাম শ্রবণ করার পর, এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট নিজেকে পরিশুদ্ধ করার প্রার্থনা করা হয়।
৩. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন: আল্লাহ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন, তাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠার জন্য এই দোয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তারাবির দোয়া পড়ার সময়
তারাবির নামাজ শেষে এই দোয়া পড়া হয়। অনেক মুসলিম তারাবির প্রতি দুই রাকাত শেষে বিরতির সময়ও এই দোয়া পড়ে থাকেন। এছাড়া নামাজের শেষে কুনুত দোয়াসহ অন্যান্য প্রার্থনাও করা যেতে পারে।
শেষ কথা
তারাবির নামাজের দোয়া আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এটি মুসলিম জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইবাদতের মধ্যে অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।