ইফতারের দোয়া: পবিত্র রমজানের সঠিক পদ্ধতি ও ফজিলত
ইসলাম ধর্মে রমজান মাসকে অত্যন্ত পবিত্র ও ফজিলতের মাস হিসেবে ধরা হয়। এই মাসে মুসলমানরা সিয়াম পালন করে, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখা এবং আত্মশুদ্ধির একটি প্রক্রিয়া। রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ইফতার বা রোজা ভাঙা। ইফতারের সময় একটি নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করা হয়, যা ইফতারের দোয়া নামে পরিচিত।
ইফতারের দোয়া
ইফতারের আগে ইফতার সামনে নিয়ে এই দোয়া পড়তে হয়: بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি।
ইফতারের দোয়ার ফজিলত
ইফতারের দোয়া পাঠের মাধ্যমে রোজাদার আল্লাহর প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেই দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হাদিসে বর্ণিত আছে, রোজাদারের ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়, কারণ এই সময়টি আল্লাহর নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দোয়া করা রোজাদারের জন্য বিশেষ অনুগ্রহের কারণ হয়। আল্লাহ তাআলা এই দোয়ার মাধ্যমে তার বান্দার ইচ্ছা ও প্রার্থনাকে গ্রহণ করেন।
ইফতারের সঠিক পদ্ধতি
ইফতার করার সময় কিছু আদব বা শিষ্টাচার অনুসরণ করা উত্তম। যেমন:
1. সন্ধ্যা হওয়ার পর ইফতার করা - মাগরিবের আজান শোনা মাত্র ইফতার করা উচিত।
2. খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা - রাসূলুল্লাহ (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন। যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তবে পানি দিয়ে ইফতার করা যায়।
3. দোয়া পড়া - ইফতারের শুরুতেই দোয়া পড়া উচিত।
ইফতারের দোয়ার গুরুত্ব
রমজান মাসে ইফতারের দোয়া মুসলিমদের মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে। এই দোয়ার মাধ্যমে তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেন। ইফতারের মাধ্যমে আল্লাহর দেওয়া রিজিকের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের ইমানকে আরো শক্তিশালী করা হয়।
উপসংহার
ইফতারের দোয়া একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী প্রার্থনা। এটি রোজাদারের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ বরকত পাওয়ার একটি মাধ্যম। মুসলিমরা ইফতারের সময় এই দোয়া পড়ার মাধ্যমে নিজেদের রোজার পূর্ণতা পায় এবং আল্লাহর কাছে তার অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।