সোসাল মিডিয়া মানুষের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করছে
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন নেই, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমান সমাজে মানুষের প্রথম রোজগার চলে যায় ভালো মোবাইল কিনার জন্য।
অধিকাংশ মানুষ তার জীবনের প্রথম চাকরির টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে থাকে।আর এই মোবাইল এখন শুধু মোবাইলে সীমাবদ্ধ নয়,এই মোবাইল এখন মানুষের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে।
কেউ এটার স্বচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের জীবন সুন্দর করছে, আবার কেউ খারাপ করে ফেলছে।
কেউ একটার মাধ্যমে নিজের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে, জীবন সুন্দর করছে।
আবার কেউ এটার ফাদে পরে সবকিছু হারিয়ে ফেলছে, এমনকি নিজের সম্ভ্রম পর্যন্ত।
এটার সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে না জানার কারণে এমন হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সোসাল একাউন্ট নেই এমন ব্যাক্তি খুজে পাওয়া কঠিন। ফেসবুক, টুইটার,ওয়াটসআ্যপ, ইনস্টাগ্রাম,ইমো,ভাইবার,পিন্টারেস্ট, আরও অনেক।
ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা মানুষকে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আটকে দিচ্ছে।সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে পর্ন ছড়ানো থেকে শুরু করে,নগ্নতা ও যৌন হয়রানির স্বীকার অধিকাংশ নারী।
বর্তমান সময়ে সোসাল মিডিয়া মানুষকে,আসল পৃথিবী থেকে আলাদা করে দিচ্ছে।
৫ বছর আগে এক গবেষণা বলেছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে বিষন্ন করে দিচ্ছে। এবং ঐ গবেষনায় আরও বলা হয়েছিল,একটা সময়ের পর পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ বিষন্নতা রোগে ভুগবে।
গবেষণায় বলা কথাগুলো বর্তমানে সত্যে পরিণত হয়েছে,প্রতিটি পরিবারে মা বিরক্ত বোধ করছেন সন্তানের মোবাইল চালানো দেখে।
ব্যাঙ্করেট নামক একটা সংস্থার চালানো নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, নতুন তথ্য,সোসাল মিডিয়াতে দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখে, অধিকাংশ মানুষ পন্য ক্রয় করার দিকে ধাবিত হচ্ছেন। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে,তারা ঝুঁকি নিয়ে ক্রয় করতে আগ্রহী হচ্ছে।
যারা ক্রয় করতে পারছেন না,তারা আফসোস করছেন, এবং ভাগ্যকে দোষারোপ করছেন, সৃষ্টিকর্তার উপর আক্ষেপ করছেন। এধরনের বিজ্ঞাপন দেখে অনেক মেয়েই তাদের সম্ভ্রম পর্যন্ত হারাচ্ছেন।
অধিকাংশ সোসাল মিডিয়া ব্যবহারকারী চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখেই লোভে পরে যান,যা ক্রয় করা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়।
সোসাল মিডিয়া শুধু মানুষের পকেট খালি করার জন্য নয়, বরং মানুষের মনের শান্তি ও নষ্ট করছে।
ঐ গবেষনায় বলা হয়েছে,সোসাল মিডিয়া মানুষের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করছে।
Tags:
তথ্যপ্রযুক্তি