ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে?
ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে তাঁর জ্বর হয়। অনেক ক্ষেত্রে এর বেশি ও হতে পারে।
২০২৩ এর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ভিন্ন
এবারের ডেঙ্গু একটু ব্যতিক্রম। চলুন জেনে নেওয়া যাক। প্রতিটি রোগ প্রতিবার নতুন নতুন উপসর্গ নিয়ে আসে, এবারের ডেঙ্গুও তাই।
👉 এডিস মশার ঘনত্ব বেশী।
👉 প্রজননস্থলের ঘনত্ব অথবা সংখ্যা বেশি।
👉 দ্বিতীয় ও তৃতীয় বার ও আক্রান্ত হচ্ছে।
👉 অনেকের ক্ষেত্রে শুধু বমি হচ্ছে,জ্বর নেই।
👉 জ্বর না থাকায় অনেকের ক্ষেত্রে টেস্ট করে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।
👉 অনেকের ক্ষেত্রে শুধু ডায়রিয়া হচ্ছে,৫ দিনেও থামছে না ডায়রিয়া, টেস্ট করে পরে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।
👉 এবারের ডেঙ্গুতে অনেকের ক্ষেত্রে বুকে পানি জমছে।
👉 প্রচন্ড পেটে ব্যথা।
👉 বমি হওয়া।
👉 মাথা ধরা বা ব্যথা।
👉 শরীর খিঁচুনি ও ব্যথা।
👉 দূর্বলতা ও অবসাদ দেখা দেওয়া।
👉 হাত পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ ও দেখা দিচ্ছে।
👉 রক্তচাপ কমে যাওয়া।
👉 মস্তিষ্কে প্রদাহ।
ডেঙ্গু রোগের জীবাণুর নাম কি
ডেঙ্গু ভাইরাস বা ডেঙ্গি ভাইরাস(ইংরেজি: Dengue virus) (DENV) হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ(RNA) ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গিয়েছে।
২০২৩ এর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ভিন্ন
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার
👉 পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
👉 সব সময় মশারি টাঙাতে হবে।
👉 ফুল হাতা জামা পরতে হবে। যতদূর সম্ভব ঢেকে রাখা নিজেকে।
👉 পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
👉 বাড়ির আশপাশে পানি যাতে না জমে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
👉 ঘর ও আশপাশের যেকোনো জায়গায় পানি জমতে দেয়া যাবে না।
👉 ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
👉 গাড়ির গ্যারেজ আর বহুতল ভবন হলো লার্ভার মূল আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
👉 ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কনটেনার, মটকা, ব্যাটারি ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে, বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
👉 একমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে।
ম্যালেরিয়া জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে
কয়েকটি খাবার বিশেষ তালিকায় রাখলেই দ্রুত ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।ডেঙ্গু রোগীকে কয়েকটি বিশেষ খাদ্যাভ্যাস করতে হয়।
👉 দুগ্ধ জাতীয় সবধরনের খাবার অতীব জরুরি।
👉 বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় ডায়েটে প্রোটিন, প্রোবায়োটিক ও আয়রনযুক্ত খাবার থাকা জরুরি।
👉 দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়োটিকসের সমৃদ্ধ উৎস।
👉 দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্ত্রের উপকার করে।
👉 ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দুগ্ধজাত খাবার শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
👉 ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। তাই এই সময় খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি থাকা একান্ত জরুরি।
👉 প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে পরিচিত হল পেঁপেঁপাতার রস। তেতো লাগলেও এই রস ডেঙ্গুর মোকাবিলায় ভীষণ উপকারী।
👉 ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তরল খাবার খাওয়া তুলনায় সহজ। তাই এই সময় শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরল খাবার যেমন মাংসের স্যুপ,দইয়ের লস্যি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত।
👉 সবুজ শাকসবজি ভিটামিন কে ও আই-এর সমৃদ্ধ উৎস। এই দুটি ভিটামিনই রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। পার্সলে পাতা, পালং শাক, পুদিনা, বাধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
👉 ভিটামিন সি ও ফোলেটও প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই ফল এই ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
👉 ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক কুমড়ো খাওয়ার পরামর্শ দেন। কুমড়ো ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
👉 পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
👉 সব সময় মশারি টাঙাতে হবে।
👉 ফুল হাতা জামা পরতে হবে। যতদূর সম্ভব ঢেকে রাখা নিজেকে।
👉 পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
👉 বাড়ির আশপাশে পানি যাতে না জমে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
👉 ঘর ও আশপাশের যেকোনো জায়গায় পানি জমতে দেয়া যাবে না।
👉 ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
👉 গাড়ির গ্যারেজ আর বহুতল ভবন হলো লার্ভার মূল আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
👉 ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কনটেনার, মটকা, ব্যাটারি ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে, বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
👉 একমাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?
আমাদের দেশে অনেকে মনে করেন জ্বর হলে গোসল করা হারাম।
গোসল করলে সর্দি হবে, জ্বর বাড়তে পারে।
আমাদের দেশে জ্বর হলে জলপট্টি দেওয়া, মাথায় জল ঢেলে জিজানো বেশি জনপ্রিয়।
জ্বরের রোগীকে গোসল করানো বৈজ্ঞানিকভাবে নিষিদ্ধ নয়।
আপনি যদি গোসল না করেন তবে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন।
শরীর ম্যাজ ম্যাজ করবে।
এ ছাড়া জ্বরের কারণে অস্বস্তির অনুভূতি কাজ করবে ।
জ্বরের সময় শরীর ঘেমে যায় এবং গোসল না করলে বেশি অস্বস্তিবোধ হয়।
অন্যদিকে সাময়িকভাবে গোসল করলে জ্বরের তীব্রতা কমে যায় এবং রোগী সতেজ বোধ করেন। পরিচ্ছন্নতাও বজায় থাকে।
অনেক সময় জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ঠাণ্ডা, ঠান্ডা ভাব লাগে।
জল প্রবাহের কারণে আরও ঠান্ডা বা অতিরিক্ত কাঁপুনি হতে পারে।
তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানির সাথে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে গোসল করা ভালো।
তাপমাত্রা রোগীর জন্য সহনীয় অনুযায়ী হওয়া উচিত।
খুব গরম বা খুব ঠান্ডা যাতে না হয়।
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?
ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে তাঁর জ্বর হয়। অনেক ক্ষেত্রে এর বেশি ও হতে পারে।