আরাফার দিনের ফজিলত ও আরাফার দিনের দোয়া
আরাফার দিন হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং ইসলামে এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত। আরাফাহ হলো জিলহজ মাসের ৯ম দিন, যখন হাজীরা আরাফাত ময়দানে জড়ো হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হন। এই দিনটি কেবল হাজীদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্যও বিশেষ গুরুত্ববহ।
আরাফার দিনের ফজিলত
১. পাপ মোচন: নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আরাফার দিন রোজা রাখলে পূর্ববর্তী এক বছরের এবং পরবর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায়। এই দিন রোজা রাখা মুসলিমদের জন্য সুন্নাহ হিসেবে পরিগণিত, যা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার অন্যতম মাধ্যম।
২. দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সুযোগ: আরাফার দিন হলো এমন একটি দিন যখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। মুসলিমরা এই দিন বিশেষ দোয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনায় লিপ্ত হন।
৩. জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি: এই দিনে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য বান্দাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দেন। এর গুরুত্ব এতটাই বেশি যে এই দিন আল্লাহ মুমিনদের উপর বিশেষ রহমত ও অনুগ্রহ বর্ষণ করেন।
আরাফার দিনের দোয়া
আরাফার দিনে প্রিয় নবী (সা.) যে দোয়া করেছেন, তা হলো:
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শাইইন ক্বাদির।"
এই দোয়ার অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর, প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান।”
এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে মুমিন তার জীবনের জন্য কল্যাণ, পাপমোচন এবং সাফল্য লাভের আশা করতে পারে।
উপসংহার
আরাফার দিন মুসলিমদের জন্য ক্ষমা, রহমত ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই দিন বিশেষ রোজা রাখা, দোয়া করা, এবং ইবাদতে মগ্ন হওয়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।