২০২৫ সালে শবে কদর কত তারিখে হবে

২০২৫ সালে শবে কদর কত তারিখে হবে


২০২৫ সালে শবে কদর কত তারিখে হবে এবং শবে কদরের ফজিলত

শবে কদর (লাইলাতুল কদর) হলো ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এটি এমন একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এই রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়, এবং আল্লাহর বিশেষ রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়। শবে কদরকে মুমিনদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মহান সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০২৫ সালে শবে কদর কত তারিখে হবে?

ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকে বেজোড় রাতগুলোতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯) অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। তবে অনেক মুসলমান ২৭ রমজানের রাতে শবে কদর পালন করে থাকেন।

২০২৫ সালে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শবে কদর হতে পারে:

  • ২১ রমজান: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল

  • ২৩ রমজান: শনিবার, ১৯ এপ্রিল

  • ২৫ রমজান: সোমবার, ২১ এপ্রিল

  • ২৭ রমজান: বুধবার, ২৩ এপ্রিল

  • ২৯ রমজান: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল

চূড়ান্ত তারিখ নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। তাই এই রাতগুলোতে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত।

শবে কদরের ফজিলত

১. হাজার মাসের চেয়েও উত্তম

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন:
"নিশ্চয়ই কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।" (সূরা আল-কদর: ৩)
এই রাতের ইবাদতের সওয়াব হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি।

২. কুরআন অবতীর্ণের রাত

শবে কদরের সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো এই রাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এটি মানবজাতির জন্য আল্লাহর হেদায়েত এবং দিকনির্দেশনার পাথেয়।

৩. গুনাহ মাফের সুযোগ

হাদিসে উল্লেখ আছে, যারা শবে কদরের রাতে ইবাদত করবে, আল্লাহ তাদের পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।

৪. ফেরেশতাদের আগমন

এই রাতে অসংখ্য ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং মুমিনদের জন্য দোয়া করেন।
"এই রাতে ফেরেশতারা এবং জিবরাইল (আ.) তাদের রবের অনুমতিতে প্রতিটি বিষয়ে অবতীর্ণ হন।" (সূরা আল-কদর: ৪)

৫. শান্তি ও নিরাপত্তার রাত

শবে কদর এমন একটি রাত, যা ফজর পর্যন্ত শান্তি এবং বরকতময়। এটি বান্দাদের আত্মিক প্রশান্তি লাভের সুযোগ দেয়।

শবে কদরের রাতে করণীয়

১. নফল নামাজ আদায়: এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
২. কুরআন তিলাওয়াত: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত এবং এর অর্থ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা।
৩. তওবা ও ইস্তেগফার: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে পাপ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করা।
৪. দোয়া করা: নিজের ও পরিবারের জন্য, এবং পুরো উম্মাহর কল্যাণের জন্য দোয়া করা।
৫. দরুদ শরিফ পাঠ: মহানবী (সা.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।

উপসংহার

শবে কদর হলো রহমত, মাগফিরাত, এবং নাজাতের রাত। এই রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে যথাযথভাবে পালন করলে আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ পুরস্কার লাভ করা সম্ভব। ২০২৫ সালের শবে কদরে আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি ইবাদত ও দোয়া করা, যেন আল্লাহ আমাদের গুনাহ ক্ষমা করেন এবং জান্নাতের অধিকারী করেন। আল্লাহ আমাদের শবে কদরের ফজিলত বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন