এশার পরের আমল: নামাজের পর করণীয় গুরুত্বপূর্ণ আমল

এশার পরের আমল: নামাজের পর করণীয় গুরুত্বপূর্ণ আমল


এশার পরের আমল সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেক মুসলমানেরই থাকে, কারণ এই সময়টিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রয়েছে, যা আমাদের আখিরাতের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এশার নামাজের পর কিছু বিশেষ আমল করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।

১. তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ মহান আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের একটি অন্যতম উপায়। কুরআন ও হাদিসে এ নামাজের বিশেষ গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়েন, আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করেন এবং জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করেন।

২. কুরআন তিলাওয়াত

এশার পর কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাতে কুরআনের আয়াত পাঠ করলে মন প্রশান্ত হয় এবং রুহানিয়াত বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে সূরা মূলক, সূরা ওয়াকিয়া ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

৩. ইস্তেগফার ও দোয়া করা

এশার পর ইস্তেগফার ও দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করেন। বিশেষ করে, "আস্তাগফিরুল্লাহ" পাঠ করলে গুনাহ মাফ হওয়ার সুসংবাদ রয়েছে।

৪. দরুদ শরীফ পাঠের গুরুত্ব

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করে, সে কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ লাভ করবে। তাই এশার নামাজের পর দরুদ শরীফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫. আত্মসমালোচনা ও দিনের হিসাব-নিকাশ

প্রতিদিনের কাজের হিসাব-নিকাশ করা এবং নিজের ভুল-ত্রুটি সম্পর্কে চিন্তা করা আমাদের আত্মগঠনের জন্য খুবই জরুরি। রাতে নিজের কর্মপর্যালোচনা করলে পরবর্তী দিনগুলোতে আরও ভালো জীবনযাপন করা সম্ভব।

এশার পর এই আমলগুলো করার মাধ্যমে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণ লাভ করতে পারি। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলো করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন