ইয়াকুব (আ.) নবীর জীবনী মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আল্লাহর প্রেরিত নবীদের একজন এবং তাঁর জীবনী থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।
ইয়াকুব (আ.) এর পরিচয়
ইয়াকুব (আ.) ছিলেন ইবরাহিম (আ.)-এর পৌত্র এবং ইসহাক (আ.)-এর পুত্র। তাঁর অপর নাম ছিল ‘ইসরাইল’। তিনি ছিলেন নবী এবং তাঁর বারো পুত্র থেকে বনি ইসরাইল জাতির উদ্ভব হয়।
ইয়াকুব (আ.)-এর নবুওয়াত
আল্লাহ তাঁকে নবী করে প্রেরণ করেন এবং তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে তাওহিদের শিক্ষা দেন। তিনি ধৈর্য, ন্যায়বিচার এবং সততার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
ইয়াকুব (আ.) ও তাঁর পরিবার
ইয়াকুব (আ.)-এর সন্তানদের মধ্যে ইউসুফ (আ.) ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তাঁর পুত্রদের মধ্যকার ঘটনা কুরআনে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে।
ইয়াকুব (আ.)-এর ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল
ইয়াকুব (আ.) ধৈর্যশীল ছিলেন এবং সর্বদা আল্লাহর প্রতি নির্ভর করতেন। বিশেষ করে যখন তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে হারান, তখনও তিনি আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখেন এবং ধৈর্য ধারণ করেন।
ইয়াকুব (আ.)-এর মৃত্যু
তিনি বৃদ্ধ বয়সে মিসরে পৌঁছান এবং সেখানে তাঁর সন্তানদের সাথে মিলিত হন। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁদের তাওহিদের পথ অনুসরণের উপদেশ দেন। তাঁকে মিসরে দাফন করা হয়, পরে তাঁর দেহ ফিলিস্তিনে স্থানান্তর করা হয়।
ইয়াকুব (আ.) থেকে শিক্ষা
ধৈর্য ও সহনশীলতা থাকা।
সর্বদা আল্লাহর ওপর আস্থা রাখা।
পরিবারের মধ্যে ন্যায়বিচার ও ভালোবাসা বজায় রাখা।
সত্য ও ন্যায়ের পথে চলা।
শেষ কথা
ইয়াকুব (আ.)-এর জীবন আমাদের জন্য অসংখ্য শিক্ষা বহন করে। তাঁর ধৈর্য, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা এবং পারিবারিক জীবনের গুরুত্ব আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই শিক্ষাগুলো গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।