তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের নিয়ম ও ফজিলত:tahiyatul ojur namazer niyom

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের নিয়ম ও ফজিলত:tahiyatul ojur namazer niyom


নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ, আর তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ একটি বিশেষ নফল ইবাদত, যা অজুর পর পড়া হয়ে থাকে। এই নামাজের মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন। আসুন জেনে নিই তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের নিয়ম ও ফজিলত।

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ কি?

তাহিয়াতুল ওযু হল সেই নফল নামাজ, যা কোনো ব্যক্তি অজু করার পর দুই রাকাত হিসেবে আদায় করে। এটি মহানবী (সা.)-এর অন্যতম সুন্নত আমল। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, অজুর পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ পড়ার নিয়ম

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ পড়ার নিয়ম খুবই সহজ।

১. সম্পূর্ণ খালিস নিয়তে অজু সম্পন্ন করুন।
2. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ান এবং নিয়ত করুন: "আমি তাহিয়াতুল ওযুর দুই রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ত করছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।"
3. প্রথম রাকাতে তাকবির বলে সূরা ফাতিহা ও যেকোনো সূরা পড়ুন।
4. রুকু, সিজদা ও অন্যান্য ফরজ ওয়াজিব আদায় করে দ্বিতীয় রাকাতেও একইভাবে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়ে নামাজ সম্পন্ন করুন।
5. শেষ তাশাহুদ, দরুদ ও দোয়া পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের ফজিলত

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো:

  • জান্নাতের দরজা খোলা হয়: মহানবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি অজুর পর দুই রাকাত নামাজ পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়।" (সহিহ মুসলিম)

  • গুনাহ মাফ হয়: এই নামাজ গুনাহ মোচনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

  • ইবাদতের স্বাদ বৃদ্ধি পায়: এটি মানুষের হৃদয়ে নামাজের প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করে এবং ইবাদতের স্বাদ বাড়ায়।

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজের সময় ও গুরুত্ব

এই নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে, এটি ফরজ নামাজের ওয়াক্তের বাইরে পড়া উত্তম। যেমন, ফজরের ফরজের আগে কিংবা মাগরিবের ফরজের পর এটি পড়া মাকরুহ নয়।

উপসংহার

তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত, যা আমাদের নামাজের প্রতি আরও মনোযোগী করে তোলে। এটি জান্নাতের পথে একটি মহামূল্যবান সেতু, যা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উপকারী। তাই আমাদের উচিত, অজুর পর দুই রাকাত তাহিয়াতুল ওযুর নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন