সংসার জীবনে মতানৈক্য ও ঝগড়া স্বাভাবিক বিষয়, তবে যদি তা নিয়মিত হয়ে যায়, তাহলে দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সম্পর্ক সুস্থ ও সুখী রাখতে ঝগড়া কমানোর কিছু উপায় জানা জরুরি। নিচে কিছু কার্যকর কৌশল দেওয়া হলো—
১. পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা
যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের মতামত ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
২. খোলামেলা যোগাযোগ করা
পরস্পরের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করলে ভুল বোঝাবুঝি কমে যায়। যদি কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হয়, তাহলে শান্তভাবে কথা বলা উচিত, যাতে ঝগড়া না বাড়ে।
৩. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা
রাগের সময় হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা কঠোর কথা বলা উচিত নয়। নিজেকে শান্ত রেখে পরিস্থিতি বুঝে কথা বললে ঝগড়া এড়ানো সম্ভব।
৪. একে অপরের কথা শোনা
অনেক সময় আমরা নিজেদের কথাই বেশি বলতে চাই, কিন্তু সঙ্গীর কথা শোনা ও বোঝা অত্যন্ত জরুরি। ধৈর্য ধরে সঙ্গীর অনুভূতি ও যুক্তি শুনলে ঝগড়া কমে।
৫. দোষারোপ না করা
ঝগড়ার সময় একে অপরকে দোষারোপ করা সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। পরিবর্তে, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা এবং সমস্যার সমাধান খোঁজাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৬. একসঙ্গে মানসম্মত সময় কাটানো
সংসারে সময়ের অভাবে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়। একসঙ্গে ভালো সময় কাটালে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়, যা ঝগড়া কমাতে সাহায্য করে।
৭. দরকার হলে বিরতি নেওয়া
কখনও কখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সাময়িক বিরতি নেওয়া ভালো। কিছুক্ষণ দূরে থেকে ভাবার সুযোগ পেলে সমস্যা সহজে সমাধান করা যায়।
৮. প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া
যদি ঝগড়া খুব বেশি বাড়তে থাকে এবং কোনোভাবেই সমাধান না হয়, তাহলে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সুখী সংসার গড়তে পরস্পরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বজায় রাখা জরুরি। ঝগড়া এড়ানোর এসব উপায় মেনে চললে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।