বাংলাদেশে এপ্রিল মাস সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য পরিচিত। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেও তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
কালবৈশাখী ঝড়ের কারণ ও বৈশিষ্ট্য
কালবৈশাখী ঝড় মূলত গ্রীষ্মের শুরুতে পশ্চিমা লঘুচাপ ও স্থানীয় আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত বিকেলের দিকে আঘাত হানে এবং প্রচণ্ড বাতাস, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি নিয়ে আসে। তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তন এবং আর্দ্রতার আধিক্য এই ঝড়ের সৃষ্টি ও তীব্রতাকে বাড়িয়ে তোলে।
২০২৫ সালের পূর্বাভাস ও সম্ভাব্য ক্ষতি
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এবছর বায়ুমণ্ডলীয় পরিবর্তন ও জলবায়ু উষ্ণায়নের ফলে কালবৈশাখীর তীব্রতা আগের বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে। কৃষি খাত, বিশেষ করে বোরো ধানের ক্ষেত এবং ফলের বাগান, এই ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও করণীয়
কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা, বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা এবং বাইরে বের না হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে খোলা স্থানে থাকা কৃষকদের সচেতন থাকা দরকার। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনও ঝড়ের ক্ষতি কমানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।
উপসংহার
তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এপ্রিলে বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তাই পূর্বাভাস অনুযায়ী যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জনগণের সচেতনতা এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ ঝড়ের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করতে পারে।