উইন্ডোজ ১১ মাইক্রোসফটের সবচেয়ে নতুন অপারেটিং সিস্টেম, যা অনেক আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে এসেছে। তবে উইন্ডোজ ১১-এ এমন কিছু লুকানো ফিচার রয়েছে, যেগুলি অনেক ব্যবহারকারী জানে না। এই ফিচারগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে পারেন। চলুন, জানি উইন্ডোজ ১১ এর কিছু লুকানো ফিচার।
১. উইন্ডোজ ১১-এ স্টিকি নোটস ব্যবহার করুন
উইন্ডোজ ১১-এ একটি সহজ, দ্রুত এবং কার্যকরী নোট তৈরির টুল রয়েছে, যা Sticky Notes নামে পরিচিত।
আপনি এটি ব্যবহার করে দ্রুত নোট তৈরি করতে পারেন, যা ডেস্কটপে স্থির থাকে।
এটি কাজের সময় গুরুত্বপূর্ণ টাস্ক বা আইডিয়া দ্রুত মনে রাখার জন্য উপকারী।
২. ডেস্কটপ থাম্বনেইল সাইজ কাস্টমাইজ করুন
উইন্ডোজ ১১-এ ডেস্কটপে থাম্বনেইল সাইজ কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আপনি ফাইল ও ফোল্ডারের আকার পরিবর্তন করে ডেস্কটপে আরও স্পেস পেতে পারেন।
এজন্য, ফোল্ডার ভিউ অপশন পরিবর্তন করে আপনি থাম্বনেইল সাইজ ছোট বা বড় করতে পারেন।
৩. টাস্কবারে অ্যাপ সংযুক্ত করার নতুন উপায়
উইন্ডোজ ১১-এ টাস্কবারে অ্যাপ সংযুক্ত করার পদ্ধতি অনেক সহজ হয়েছে।
আপনি চাইলে টাস্কবারে আপনার প্রিয় অ্যাপগুলি পিন করে রাখতে পারবেন।
এর মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত অ্যাপগুলিতে অ্যাক্সেস পেতে পারেন, যা আপনার কাজকে আরও দ্রুত ও সহজ করবে।
৪. মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য Snap Layouts ব্যবহার করুন
উইন্ডোজ ১১-এ Snap Layouts ফিচারটি আপনাকে একসাথে একাধিক অ্যাপ বা উইন্ডো সন্নিবেশিত করতে সাহায্য করবে।
একটি উইন্ডোতে একাধিক অ্যাপ রাখতে, কেবলমাত্র উইন্ডোর উপর মাউস হভার করলে স্ন্যাপ অপশনটি আসবে।
এটি মাল্টি-টাস্কিংয়ের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে এবং আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
৫. উইন্ডোজ ১১-এর ওয়াচলিস্ট ফিচার
উইন্ডোজ ১১-এ একটি Watchlist ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ফাইল ও ফোল্ডারগুলোকে রিয়েল-টাইমে ট্র্যাক করতে পারবেন।
এটি মূলত একটি কার্যকরী ফিচার যেখানে আপনি ফাইলগুলোর উপর নজর রাখতে পারেন এবং দ্রুত তাদের অ্যাক্সেস করতে পারেন।
এটি ডেস্কটপের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর সাথে কাজ করার জন্য উপকারী।
৬. কাস্টমাইজেবল ডেস্কটপ প্যাকেজ
উইন্ডোজ ১১ আপনাকে ডেস্কটপ কাস্টমাইজ করার জন্য আরও বেশি অপশন প্রদান করে।
আপনি Widgets ব্যবহার করে ডেস্কটপে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য, যেমন আবহাওয়া, খবর, বা ক্যালেন্ডার, দেখতে পারেন।
এছাড়া, আপনি ডেস্কটপের থিম পরিবর্তন করে আপনার কম্পিউটারের লুক আরও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
৭. উইন্ডোজ ১১ এর ইন্টারেক্টিভ ফিচার
উইন্ডোজ ১১-এ একটি নতুন Interactive Widgets ফিচার রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক নজরে দেখতে পারবেন।
Weather, Calendar, To-Do List ইত্যাদি সবকিছু ডেস্কটপে উইজেট হিসেবে দেখতে পারবেন।
এটি আপনার কাজের সুবিধা বাড়ায় এবং আপনাকে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করে।
৮. ভার্চুয়াল ডেস্কটপ কাস্টমাইজেশন
উইন্ডোজ ১১ ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ব্যবহারের জন্য নতুন কাস্টমাইজেশন টুল প্রদান করেছে।
আপনি বিভিন্ন ভার্চুয়াল ডেস্কটপ তৈরি করে প্রোজেক্ট, কাজ বা পার্সোনাল অ্যাপ্লিকেশন আলাদা রাখতে পারেন।
এটি মাল্টি-টাস্কিং সহজ করে তোলে এবং আপনাকে আরও বেশি প্রোডাক্টিভ করে তোলে।
৯. উইন্ডোজ ১১-এ সহজ ফাইল ট্রান্সফার
উইন্ডোজ ১১ আপনাকে সহজ এবং দ্রুত ফাইল ট্রান্সফার করার সুযোগ দেয়।
Nearby Sharing ফিচারের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডার সহজেই অন্য ডিভাইসে শেয়ার করতে পারবেন।
এটি ফাইল ট্রান্সফারের প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকরী করে তোলে।
১০. উইন্ডোজ ১১ এর টাস্ক ম্যানেজার এ নতুন পরিবর্তন
উইন্ডোজ ১১-এ Task Manager-এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন ডিজাইনের সাথে এটি আরও ইউজার-ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠেছে এবং এতে সিস্টেম রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট আরো উন্নত হয়েছে।
এটি আপনাকে আপনার সিস্টেমের কার্যক্ষমতা মনিটর করতে সাহায্য করবে এবং দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে।
উপসংহার: উইন্ডোজ ১১ এর লুকানো ফিচার ব্যবহার করে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করুন
উইন্ডোজ ১১ অনেক উন্নত এবং আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে এসেছে যা আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা অনেক উন্নত করবে। আপনি যদি এই লুকানো ফিচারগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার কাজের গতি এবং সিস্টেমের পারফরম্যান্স আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই, আজ থেকেই এই ফিচারগুলো ব্যবহার শুরু করুন এবং উইন্ডোজ ১১-এর পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করুন।
আরো টিপস ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত আপডেট পেতে ঘুরে আসুন – usdate.blogspot.com