বর্তমান যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, আর ওয়াইফাই ব্যবহারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে এর পাশাপাশি বাড়ছে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি। সঠিক সতর্কতা না নিলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। তাই আজ জানব কিভাবে ওয়াইফাই হ্যাকিং থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার ওয়াইফাইয়ের জন্য একটি জটিল ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। পাসওয়ার্ডে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও স্পেশাল ক্যারেক্টার (যেমন: !@#) ব্যবহার করুন।
২. WPA3 বা অন্তত WPA2 এনক্রিপশন চালু রাখুন
আপনার রাউটারে সর্বশেষ সিকিউরিটি প্রোটোকল (WPA3 অথবা WPA2) চালু আছে কিনা দেখে নিন। WEP বা পুরনো প্রোটোকল ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
৩. রাউটারের নাম (SSID) লুকিয়ে রাখুন
রাউটারের SSID হাইড করে দিলে এটি সাধারণভাবে ওয়াইফাই তালিকায় দেখা যায় না। এতে করে হ্যাকারদের পক্ষে আপনার নেটওয়ার্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়।
৪. ফার্মওয়্যার আপডেট রাখুন
রাউটারের সফটওয়্যার (ফার্মওয়্যার) পুরনো হয়ে গেলে তা নিরাপত্তা দুর্বল করে দেয়। রাউটার ম্যানুফ্যাকচারারের ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ আপডেট চেক করে ইন্সটল করুন।
৫. গেস্ট নেটওয়ার্ক চালু করুন
পরিচিত কেউ ওয়াইফাই চাইলে সরাসরি মূল নেটওয়ার্ক না দিয়ে “Guest Network” অপশন ব্যবহার করুন। এতে আপনার মূল ডেটা সুরক্ষিত থাকবে।
৬. অপ্রয়োজনীয় ডিভাইস ব্লক করুন
রাউটারের অ্যাডমিন প্যানেলে গিয়ে আপনি দেখে নিতে পারেন কোন কোন ডিভাইস সংযুক্ত রয়েছে। অপরিচিত ডিভাইস থাকলে সাথে সাথে ব্লক করে দিন।
৭. রাউটারের অ্যাডমিন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন
অনেক সময় রাউটারের ডিফল্ট ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অপরিবর্তিত থাকে, যা হ্যাকারদের কাজ সহজ করে দেয়। তাই এটি পরিবর্তন করে একটি নিরাপদ পাসওয়ার্ড দিন।
এই সাবধানতাগুলো মেনে চললে আপনার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে। আরও এমন সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি বিষয়ক টিপস জানতে ভিজিট করুন:
https://usdate.blogspot.com
আরও কোনো সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক বাংলা কনটেন্ট লাগলে জানাতে পারেন, আমি তৈরি করে দেব!