কাশি একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। ২০২৫ সালে বাজারে বিভিন্ন কার্যকর কাশির ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে। নিচে উল্লেখ করা হলো এমন ১০টি জনপ্রিয় ও কার্যকর কাশির ট্যাবলেট, যেগুলো চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।
১. ডেক্সট্রোমেথরফ্যান (Dextromethorphan)
শুকনা কাশির জন্য কার্যকর। সাধারণত নাইট টাইম সিরাপ বা ট্যাবলেটে ব্যবহৃত হয়।
২. অ্যামব্রোক্সল (Ambroxol)
কাশির পাশাপাশি গলায় জমে থাকা কফ বের করতে সাহায্য করে।
৩. সিটারিজিন + ফেনাইলএফ্রিন + ডিপ্রোমিন
এটি অ্যালার্জিজনিত কাশি এবং সর্দি উপশমে কার্যকর। অনেক কম্বিনেশন ট্যাবলেটে ব্যবহৃত হয়।
৪. মোনটেলুকাস্ট + লেভোসিট্রিজিন
অ্যালার্জিজনিত দীর্ঘস্থায়ী কাশির ক্ষেত্রে উপকারী। শিশুরাও নিরাপদে নিতে পারে (ডাক্তারের পরামর্শে)।
৫. ব্রোমহেক্সিন (Bromhexine)
বুকে জমে থাকা কফ পাতলা করে সহজে বের করে দেয়।
৬. টেরবুটালিন + গুইফেনেসিন + অ্যামব্রোক্সল
কাশি, শ্বাসকষ্ট ও কফের জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি কম্বিনেশন ট্যাবলেট।
৭. লেভোফ্লক্সাসিন (Levofloxacin)
ব্যাকটেরিয়াজনিত কাশির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য।
৮. কোডাইন ফসফেট (Codeine Phosphate)
তীব্র শুকনা কাশির জন্য কার্যকর, তবে এটি নিয়ন্ত্রিত ওষুধ, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়।
৯. এন্টাসিড + অ্যান্টিহিস্টামিনিক কম্বিনেশন
গ্যাস ও অ্যাসিডজনিত কাশির জন্য সহায়ক।
১০. হোমিও কাশির ট্যাবলেট (যেমন: Drosera-based tablets)
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এবং দীর্ঘমেয়াদী কাশির জন্য অনেকেই বেছে নেন।
উপসংহার
২০২৫ সালে কাশির ট্যাবলেটের বিভিন্ন কার্যকর অপশন বাজারে সহজলভ্য। তবে সব সময় ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। ভুল ওষুধ গ্রহণ শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আরও স্বাস্থ্য ও সচেতনতামূলক পোস্ট পেতে ভিজিট করুন আমাদের ব্লগ।