উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার বর্তমানে একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ড্যামেজসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এটি। তাই রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। চলুন জেনে নিই কিছু কার্যকর ও সহজ উপায় যার মাধ্যমে দ্রুত হাই প্রেসার কমানো সম্ভব।
১. গভীর ও ধীরে শ্বাস নিন
ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেওয়া নার্ভ সিস্টেমকে শান্ত করে এবং রক্তচাপ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। ৫-১০ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন করুন।
২. লবণ খাওয়া সীমিত করুন
লবণ বা সোডিয়াম হঠাৎ করে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই হাই প্রেসার হলে সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন এবং পানি খান বেশি।
৩. এক গ্লাস পানি পান করুন
ডিহাইড্রেশনও হঠাৎ প্রেসার বাড়ানোর কারণ হতে পারে। এক গ্লাস ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানি ধীরে ধীরে পান করলে রক্তচাপ কিছুটা কমে।
৪. হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন ঠান্ডা পানিতে
হাত ও পা কিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে আসে, ফলে প্রেসার কমে যেতে পারে।
৫. ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
চা, কফি বা কোলা জাতীয় পানীয় ত্যাগ করুন কারণ এগুলো ক্যাফেইনযুক্ত এবং তা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর।
৬. কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন ও চোখ বন্ধ করুন
চাপের সময় বসে পড়ুন, চোখ বন্ধ করুন এবং শান্তভাবে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এটি দ্রুত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭. কলা বা পটাশিয়ামযুক্ত ফল খান
পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। কলা, কমলা, খেজুর ইত্যাদি পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফল দ্রুত খেলে উপকার মিলতে পারে।
৮. হালকা হাঁটাহাঁটি করুন
বিশেষ করে যারা দিনের অনেকটা সময় বসে কাটান, তাদের জন্য হালকা হাঁটাহাঁটি রক্তচাপ কমানোর সহজ ও প্রাকৃতিক উপায়।
৯. ডার্ক চকোলেট খান অল্প পরিমাণে
ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্তচাপ হ্রাসে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
১০. যদি নিয়মিত হাই প্রেসার থাকে, ডাক্তার দেখান
উপরে বলা উপায়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসার কমাতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু যাদের ক্রনিক ব্লাড প্রেসার সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার: প্রাকৃতিক উপায়েই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
সতর্ক জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, স্ট্রেস কমানো এবং নিয়মিত চেকআপ—এই উপায়গুলো অবলম্বন করলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শরীরের সংকেত উপেক্ষা না করে প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আরো স্বাস্থ্য টিপস, ইসলামিক তারিখ ও দিকনির্দেশনা জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন:
https://usdate.blogspot.com