বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফিশিং (Phishing) একটি ভয়ংকর সাইবার হুমকি। হ্যাকাররা মিথ্যা ইমেইল, লিঙ্ক বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে চায়। ফিশিংয়ের ফাঁদে পড়লে আপনার ব্যাংক একাউন্ট, পাসওয়ার্ড, এমনকি পরিচয়ও চুরি হতে পারে। তাই ফিশিং প্রতিরোধে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। নিচে ফিশিং থেকে নিরাপদ থাকার ১০টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো।
১. অপরিচিত ইমেইলের লিংকে ক্লিক না করা
অপরিচিত বা সন্দেহজনক ইমেইলে প্রাপ্ত লিংকে কখনোই ক্লিক করবেন না। এটি হ্যাকারদের অন্যতম সাধারণ ফাঁদ।
২. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট টাইপ করে প্রবেশ করা
যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাইটে (যেমন ব্যাংক, ই-কমার্স) প্রবেশ করতে গুগলে না খুঁজে নিজে টাইপ করে ঢোকা নিরাপদ।
৩. SSL সনদপত্র চেক করা
যে ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত তথ্য দিচ্ছেন তা “https://” দিয়ে শুরু হচ্ছে কিনা দেখে নিন। এটিই সিকিউর সাইটের নির্দেশনা।
৪. শক্তিশালী ও আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার
প্রতিটি একাউন্টের জন্য আলাদা ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। নাম, জন্মতারিখ বা সহজ কিছু ব্যবহার করবেন না।
৫. দুই স্তরের নিরাপত্তা (Two-factor authentication) চালু করা
ফেসবুক, জিমেইল, ব্যাংক ইত্যাদি অ্যাকাউন্টে 2FA চালু রাখলে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড পেলেও প্রবেশ করতে পারবে না।
৬. সফটওয়্যার ও ব্রাউজার আপডেট রাখা
পুরোনো সফটওয়্যারে নিরাপত্তার দুর্বলতা থাকতে পারে। নিয়মিত সব অ্যাপ ও ব্রাউজার আপডেট রাখুন।
৭. অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার ও নিয়মিত স্ক্যান করা
বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখুন এবং কম্পিউটার বা মোবাইল নিয়মিত স্ক্যান করুন।
৮. ফিশিং সম্পর্কে নিজে শিখুন ও অন্যদের সচেতন করুন
ফিশিং এর ধরন, লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে নিজে জানুন এবং পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীদেরও সচেতন করুন।
৯. সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংক রিপোর্ট করুন
যদি আপনি কোনো সন্দেহজনক ইমেইল পান, তাহলে তা স্প্যাম হিসেবে মার্ক করুন বা আইটি বিভাগে রিপোর্ট করুন।
১০. পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
পাবলিক ওয়াইফাই (যেমন ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট) ব্যবহারের সময় ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাংকিং কার্যক্রম এড়িয়ে চলা উচিত।
উপসংহার:
ফিশিং থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে সচেতন থাকা এবং প্রতিটি ডিজিটাল পদক্ষেপ ভেবেচিন্তে নেওয়া। মনে রাখবেন, একটি ভুল ক্লিকেই সবকিছু হারিয়ে যেতে পারে। আরও সচেতনতামূলক ও প্রযুক্তি বিষয়ক পোস্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ব্লগ।