আশুরা (১০ই মহররম) ইসলামী ক্যালেন্ডারের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোর একটি। এই দিনটির সাথে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও হাদিস। নবী করিম (সা.) আশুরার দিন রোজা পালন করতেন এবং সাহাবাদেরও তা পালন করতে উৎসাহিত করতেন। আজকের লেখায় আমরা আশুরা সম্পর্কিত কিছু সহীহ হাদিস তুলে ধরবো।
আশুরার রোজা সম্পর্কে হাদিস
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“আমি আশা করি, আল্লাহ তা'আলা আশুরার রোযার বিনিময়ে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।”
— (সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আশুরার রোজা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল যা অতীতের গোনাহ মোচনের উপায় হতে পারে।
আশুরা এবং মুসা (আ.)-এর মুক্তি
রাসূল (সা.) বলেন:
“এই দিনটিতে আল্লাহ মূসা (আ.) ও তাঁর অনুসারীদের ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এজন্য আমরা রোযা রাখি।”
— (সহীহ বুখারি: ২০০৪)
এটি প্রমাণ করে যে আশুরার দিন আল্লাহর কুদরতের একটি নিদর্শন স্বরূপ।
আশুরার রোজা ভিন্নতা আনয়নের নির্দেশ
হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন:
“তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং এক দিন আগে বা পরে মিলাও (ভিন্নতা আনো)।”
— (মুসলিম: ১১৩৪)
এটি ইহুদিদের অনুসরণ এড়িয়ে ইসলামী রীতির বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলে।
আশুরা উপলক্ষে অতিরিক্ত কিছু করণীয় নেই
আশুরার দিনে বিশেষ কোন জামাত, রান্নাবান্না, কিংবা শোক পালন ইসলামী শরিয়তে প্রমাণিত নয়। রাসূল (সা.) শুধু রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
উপসংহার
আশুরা একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যেটি ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তবে এই দিনে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমল করাই উত্তম। রাসূল (সা.) যেভাবে আশুরা পালন করেছেন, আমাদেরও সেভাবে অনুসরণ করাই উচিত।