ইসলামে অযু শুধু শারীরিক পবিত্রতার কাজ নয়, বরং এটি আত্মিক পবিত্রতার এক মহান উপায়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অযু করার সময় বিশেষ কিছু দোয়া পড়ার কথা বলেছেন, যা পড়লে মানুষের চেহারায় এক ধরনের নূর বা আভা দেখা যায়। ফলে অন্যরা তাকিয়ে থাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার দৃষ্টিতে।
অযুর গুরুত্ব এবং আধ্যাত্মিক উপকারিতা
অযু ইসলামি ইবাদতের পূর্বশর্ত। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠ, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত ধুয়ে নাও...” (সূরা আল-মায়িদা: ৬)। এটি শুধু বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা নয়, বরং আত্মারও পরিচ্ছন্নতা।
নবীজির পছন্দের অযুর দোয়া
নবী (সা.) অযু করার সময় কিছু নির্দিষ্ট দোয়া পড়তেন। একটি প্রসিদ্ধ হাদিসে এসেছে—
"اللهم اجعلني من التوابين، واجعلني من المتطهرين"
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাকে তাওবা কারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আমাকে পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।”
এই দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তা'আলা বান্দার চেহারায় এক বিশেষ নূর দান করেন, যা দেখে মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।
চেহারায় নূর বৃদ্ধির আমল
চেহারায় নূর বৃদ্ধির জন্য নিম্নোক্ত আমলগুলো করা যেতে পারে:
নিয়মিত অযু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
অযুর পর উপরোক্ত দোয়াটি পড়া
সুরা ইয়াসিন এবং দারূদ শরীফ পাঠ
বিনয় এবং খোদাভীতির সঙ্গে চলাফেরা
অযুর পর এই ছোট দোয়া চেহারায় এনে দেয় আকর্ষণ
নবীজির হাদিস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি অযুর পর বলে:
"أشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله"
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হয় এবং তার চেহারায় আলোকিত ভাব আসে।
উপসংহার
অযুর দোয়াগুলো আমাদের শুধু ইহলৌকিক নয়, পরকালীন জীবনেও উপকারে আসে। চেহারায় নূর আনতে চাইলে অযু করার সময় নির্দিষ্ট দোয়াগুলো পাঠ করা এবং তা নিয়মিতভাবে চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।