পেটের গ্যাস বা গ্যাসট্রিক সমস্যা একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি শুধু অস্বস্তি নয়, বরং বুক জ্বালা, পেট ব্যথা, ঢেকুর, এমনকি শ্বাসকষ্টেরও কারণ হতে পারে। অনেক সময় খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে গ্যাস তৈরি হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নিই দ্রুত গ্যাস কমানোর উপায়গুলো।
১. কুসুম গরম পানি পান করুন
খালি পেটে কিংবা খাবারের পরে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি ধীরে ধীরে পান করলে গ্যাস হালকা হতে শুরু করে। এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।
২. আদা ও লেবুর মিশ্রণ গ্রহণ করুন
আদা হজমে সহায়ক এবং লেবু গ্যাস দূর করতে কার্যকর। এক চা চামচ আদার রস ও এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে খেলে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায়।
৩. জিরা পানি পান করুন
এক চামচ জিরা পানিতে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করে সেই পানি দিনে দুইবার পান করলে গ্যাস ও বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান
একবারে বেশি খাওয়া গ্যাসের অন্যতম কারণ। তাই কম পরিমাণে কিন্তু বারবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৫. হজমে সহায়ক ফল ও সবজি খান
পেঁপে, শসা, কলা ও আঁশযুক্ত সবজি পেট পরিষ্কার রাখে এবং গ্যাস প্রতিরোধ করে। প্যাকেটজাত বা প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. ঢেকুর ও বাতাস আটকে রাখবেন না
অনেকেই অস্বস্তি বা সংকোচের কারণে ঢেকুর বা বাতাস আটকে রাখেন, যা পেটের চাপ বাড়ায়। এটি না করে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গ্যাস বের হতে দিন।
৭. হাঁটাহাঁটি করুন খাবার পরে
খাবার খাওয়ার পরে অন্তত ১৫-২০ মিনিট হেঁটে নিলে তা হজমে সাহায্য করে এবং পেটের গ্যাস কমায়।
৮. দারচিনি ও মৌরি চা খান
দারচিনি ও মৌরি উভয়ই হজমের জন্য উপকারী। গরম পানিতে এগুলো সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করলে গ্যাস থেকে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।
৯. স্ট্রেস কমান ও গভীর নিঃশ্বাস নিন
চিন্তা, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ ও রিল্যাক্সেশন ব্যায়াম হজমে সহায়তা করে।
১০. প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
গ্যাস যদি ঘন ঘন হয়, ব্যথা বাড়ে বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম। এটি অন্য কোনো অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।
উপসংহার: ঘরোয়া উপায়েই পেটের গ্যাসের সমাধান
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই সবচেয়ে কার্যকর। ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত গ্যাস কমানো সম্ভব এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা যায়।
আরো স্বাস্থ্য টিপস ও ইসলামিক গাইডলাইন জানতে প্রতিদিন ভিজিট করুন:
https://usdate.blogspot.com