অনেক সময় জন্ম নিবন্ধনে নাম, জন্ম তারিখ বা বাবা-মায়ের নামের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল থাকে। এসব তথ্য সংশোধন না করলে ভবিষ্যতে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত সনদসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে সমস্যা হতে পারে। এই কারণে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে আমরা জানবো সংশোধনের নিয়ম, প্রক্রিয়া এবং করণীয়।
১. কেন জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা জরুরি?
ভুল তথ্য থাকার কারণে নাগরিকত্ব প্রমাণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা বিদেশ ভ্রমণের মতো কাজে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
২. কোন কোন ভুলের জন্য সংশোধন আবেদন করা যায়?
নামের বানান ভুল
জন্ম তারিখে ভুল
লিঙ্গ বা লিঙ্গ পরিচয়ে ভিন্নতা
পিতামাতা বা ঠিকানার ভুল তথ্য
ছবি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যের অসামঞ্জস্য
৩. জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী নিচের কাগজপত্র লাগতে পারে:
সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যাপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ
স্কুল সনদ/প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
আদালতের এফিডেভিট (যদি প্রযোজ্য)
সংশ্লিষ্ট ভুলের প্রমাণপত্র
৪. অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
১. https://bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
২. "জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন" সেকশনে যান
৩. “সংশোধনের জন্য আবেদন করুন” অপশন সিলেক্ট করুন
৪. সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করুন
৫. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন
৬. সাবমিট করুন ও আবেদন নম্বর সংরক্ষণ করুন
৫. জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের সময় কতদিন লাগে?
সাধারণত অনলাইন আবেদনের পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন/পৌরসভার যাচাই ও অনুমোদনের ভিত্তিতে ৭-৩০ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। তবে তথ্য যাচাই বা ডকুমেন্ট ঘাটতি থাকলে সময় বাড়তে পারে।
৬. সংশোধনের পর কীভাবে যাচাই করবেন?
সংশোধনের অনুমোদনের পর:
অনলাইনে BDRIS থেকে চেক করুন
সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করুন
সনদে সংশোধিত তথ্য নিশ্চিত করুন
উপসংহার
জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকলে তা দ্রুত সংশোধন করা উচিত, কারণ এটি ভবিষ্যতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবার ভিত্তি। অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো মাধ্যমে আপনি সহজেই সংশোধনের আবেদন করতে পারেন।
আরও সরকারি তথ্য, আবেদন পদ্ধতি ও নাগরিক সেবা সংক্রান্ত আপডেট পেতে ভিজিট করুন 👉
🔗 https://usdate.blogspot.com