সহবাস ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দৈহিক সম্পর্ক নয়, বরং এটি একটি ইবাদত, যাতে রয়েছে দোয়া, নিয়ম ও অগণিত ফজিলত। নিচে সহবাসের দোয়া, বাংলা উচ্চারণ ও ফজিলত বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
📿 সহবাসের আগে যেসব দোয়া পড়া সুন্নত
সহবাসের পূর্বে রাসূল (সা.) যে দোয়াটি পড়তেন, তা নিম্নরূপঃ
আরবি:
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বান, ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বানা মা রাযাক্তানাঃ।
বাংলা অর্থ:
“আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে রক্ষা করো এবং আমাদেরকে তুমি যা দান করবে (সন্তান), তাকেও শয়তান থেকে রক্ষা করো।”
✨ সহবাসের ফজিলত ও গুরুত্ব
সহবাস কেবল দেহগত চাহিদা পূরণ নয়, বরং এটি ইসলামি দৃষ্টিতে ইবাদতের একটি মাধ্যম।
ফজিলতগুলো হলঃ
সহবাসের আগে দোয়া পড়লে সন্তান শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে।
সহবাস হালাল উপায়ে করার জন্য পুরস্কার লাভ হয়।
এটি দাম্পত্য জীবনকে মজবুত ও প্রশান্তিপূর্ণ করে।
রাসূল (সা.) বলেন, “তোমাদের কারো যৌন মিলনেও সাদাকা (সওয়াব) রয়েছে।” – (সহীহ মুসলিম)
💠 সহবাসের সময় যা করণীয় ও বর্জনীয়
করণীয়ঃ
সহবাসের আগে ও পরে ওযু করা সুন্নত।
গোপনীয়তা বজায় রাখা জরুরি।
স্নেহ, ভালবাসা ও সম্মানের সাথে সহবাস করা উচিত।
স্ত্রীকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার গুরুত্ব রয়েছে।
বর্জনীয়ঃ
জোরপূর্বক সহবাস করা হারাম।
অন্যদের সামনে এ বিষয়ে আলোচনা করা নিষেধ।
পেছন দিক থেকে সহবাস করা হারাম।
মাহরাম অবস্থায় সহবাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
📘 সহবাস শেষে করণীয় ও ইবাদত
সহবাসের পর স্নান (গোসল) ফরজ। গোসলের নিয়ত করে শরীর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সহবাসের পর গোসল না করে কোনো নামাজ বা কোরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নয়।
📚 উপসংহার
ইসলাম সবকিছুতেই পরিশুদ্ধতা ও নিয়মের উপর জোর দেয়। সহবাস একটি পবিত্র ও স্বাভাবিক সম্পর্ক, যা সঠিক নিয়মে করলে দাম্পত্য জীবন বরকতময় হয়। সহবাসের দোয়া পড়া ও তার ফজিলত সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
👉 আরও ইসলামিক দোয়া ও জীবনঘনিষ্ঠ তথ্য পেতে ভিজিট করুন usdate.blogspot.com