অনলাইনে শত শত অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড মনে রাখা কঠিন কাজ। ভুলে গেলে লগইন সমস্যা, এমনকি সাইবার সিকিউরিটি ঝুঁকি হতে পারে। এই কারণে পাসওয়ার্ড সেভ করার অ্যাপ ব্যবহার করা এখন সময়ের দাবি। এখানে আমরা ২০২৫ সালের সেরা অ্যাপগুলোর তালিকা ও বৈশিষ্ট্য শেয়ার করছি, যা সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষ ফলাফল এবং Google Top Stories–এ প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে।
১. LastPass
সহজে সব পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ ও অটো-ফিল ফিচার।
ক্লাউড সিঙ্কের মাধ্যমে একাধিক ডিভাইসে অ্যাক্সেস।
দুই-স্তরের ভেরিফিকেশন সুবিধা।
২. Bitwarden
সম্পূর্ণ ফ্রি ও ওপেন-সোর্স।
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সাপোর্ট।
ব্রাউজার এক্সটেনশন ও মোবাইল অ্যাপ দুইতেই কাজ করে।
৩. Dashlane
সুন্দর ইন্টারফেস ও সহজ ব্যবহারের সুবিধা।
পাসওয়ার্ড জেনারেটর ফিচার।
ডার্ক ওয়েব মনিটরিং সুবিধা।
৪. 1Password
একাধিক ভল্ট তৈরি করে পাসওয়ার্ড ক্যাটাগরাইজ করা যায়।
ট্রাভেল মোডে নিরাপদ ডাটা ম্যানেজমেন্ট।
দলগতভাবে শেয়ার করার সুবিধা।
৫. NordPass
নিরাপদ পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ ও সহজ সার্চ সিস্টেম।
অফলাইন অ্যাক্সেস ফিচার।
নর্ডVPN-এর সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে ডিজাইন।
৬. Zoho Vault
টিম ও কোম্পানির জন্য উপযোগী।
নিরাপদে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ব্যবস্থা।
ক্লাউড-ভিত্তিক এনক্রিপশন।
৭. KeePass
সম্পূর্ণ ফ্রি ও অফলাইন অ্যাপ।
পোর্টেবল সংস্করণ USB-তে রাখা যায়।
ওপেন-সোর্স হওয়ায় কাস্টমাইজেশন সুবিধা।
৮. RoboForm
লগইন অটো-ফিল ও ফর্ম ফিলিং সুবিধা।
ক্রস-প্ল্যাটফর্ম সিঙ্ক সাপোর্ট।
পাসওয়ার্ড স্ট্রেংথ অ্যানালাইসিস।
৯. Sticky Password
অফলাইন ও ক্লাউড দুই ধরনের সিঙ্ক।
জরুরি পরিস্থিতিতে পাসওয়ার্ড অ্যাক্সেস শেয়ার ফিচার।
ডলফিন ব্রাউজার ইন্টিগ্রেশন।
১০. Google Password Manager
গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসওয়ার্ড সেভ।
ক্রোম ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে বিল্ট-ইন সাপোর্ট।
পাসওয়ার্ড চেকআপ ফিচার।
শেষ কথা
পাসওয়ার্ড সেভ করার অ্যাপ ব্যবহার করলে শুধু লগইন ঝামেলা কমে না, বরং আপনার অনলাইন সুরক্ষাও বাড়ে। উপরোক্ত অ্যাপগুলোর মধ্যে থেকে আপনার চাহিদা ও ডিভাইস অনুযায়ী একটি বেছে নিন এবং নিরাপদে অনলাইনে কাজ করুন।