২০২৫ সালে শবে মেরাজ কত তারিখে হবে এবং শবে মেরাজের ফজিলত
শবে মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নির্দেশে সপ্তম আসমান পর্যন্ত ভ্রমণ করেন এবং উম্মতের জন্য নামাজের আদেশ নিয়ে আসেন। শবে মেরাজ হলো মুমিনদের জন্য বিশেষ ইবাদতের রাত, যা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়।
২০২৫ সালে শবে মেরাজের তারিখ
চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে ইসলামী মাসগুলো নির্ধারিত হয়। ২০২৫ সালে শবে মেরাজ পালিত হবে মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে। ইসলামিক ক্যালেন্ডারে এটি ২৭ রজব, যা শবে মেরাজের রাত হিসেবে পরিচিত।
শবে মেরাজের ফজিলত
শবে মেরাজ একটি বরকতময় রাত। এই রাতের ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত, এবং ক্ষমা লাভের সুযোগ রয়েছে। শবে মেরাজের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়।
১. নামাজের আদেশ প্রদান
শবে মেরাজের অন্যতম বড় ফজিলত হলো এই রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয়। নামাজ হলো মুমিনের মেরাজ, যা আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম।
২. গুনাহ মাফের সুযোগ
শবে মেরাজের রাতে আল্লাহর কাছে ইবাদত ও তওবা করলে গুনাহ মাফ হওয়ার সুযোগ থাকে। এই রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেন এবং তাঁদের দোয়া কবুল করেন।
৩. জান্নাত ও জাহান্নামের দৃশ্য অবলোকন
শবে মেরাজে মহানবী (সা.) জান্নাত ও জাহান্নামের দৃশ্য দেখেছিলেন। এর মাধ্যমে উম্মতের জন্য আল্লাহর রহমতের বর্ণনা এবং পাপ কাজ থেকে বাঁচার শিক্ষা প্রদান করা হয়।
৪. কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া
শবে মেরাজে কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, এবং বিশেষ দোয়া করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে রহমত ও ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শবে মেরাজের রাতে করণীয়
১. বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা।
২. কুরআন তিলাওয়াত করা।
৩. তওবা ও ইস্তেগফার করা।
৪. দরুদ শরিফ পাঠ করা।
৫. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইবাদতে সময় কাটানো।
উপসংহার
শবে মেরাজের রাত মুমিনদের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতির সুযোগ। এই রাতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদতে মগ্ন থাকা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে শবে মেরাজের রাতের ফজিলত বুঝে সঠিকভাবে ইবাদত করার তাওফিক দান করেন।