গোসলের ফজিলত - উইকিপিডিয়া

গোসলের ফজিলত - উইকিপিডিয়া


ইসলামে গোসল শুধুমাত্র শারীরিক পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, বরং এটি আত্মার পবিত্রতা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের নিয়মিত গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর অসংখ্য ফজিলত উল্লেখ করেছেন। আজ আমরা জানবো গোসলের ফজিলত, গুরুত্ব, এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর উপকারিতা।


গোসলের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব - উইকিপিডিয়া

গোসল অর্থ সম্পূর্ণ শরীরকে পবিত্র পানি দ্বারা ধৌত করা। ইসলামে এটি শুধু পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, বরং ইবাদতের পূর্বশর্ত হিসেবেও বিবেচিত হয়। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—

"আর যদি তোমরা অপবিত্র হও, তাহলে গোসল করে নাও।" (সুরা মায়িদা: ৬)

রাসূল (সা.) বলেছেন, "পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।" (মুসলিম)


গোসলের ফজিলত ও উপকারিতা - উইকিপিডিয়া

১. গুনাহ মাফ হয়

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার নামাজে যায়, তার ছোট গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।" (বুখারী)

২. শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

গোসল শরীরকে শুধু পরিষ্কারই করে না, বরং এটি মানসিক প্রশান্তি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

৩. জান্নাতের সুসংবাদ

নবী (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, সে শহীদের মর্যাদা লাভ করে।" (তিরমিজি)


গোসল করার ইসলামিক পদ্ধতি - উইকিপিডিয়া

গোসল করার সুন্নতি পদ্ধতি হলো—

  1. "বিসমিল্লাহ" বলে গোসল শুরু করা।

  2. হাত ধোয়া এবং ইস্তিঞ্জা করা।

  3. পূর্ণ ওজু করা।

  4. মাথায় তিনবার পানি ঢালা।

  5. পুরো শরীরে পানি প্রবাহিত করা।


যেসব সময় গোসল করা সুন্নত - উইকিপিডিয়া

  1. জুমার দিনে

  2. ঈদের দিনে

  3. ইহরাম বাঁধার আগে

  4. জানাজার আগে

  5. নাপাক অবস্থার পর


উপসংহার - উইকিপিডিয়া

গোসল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। এটি শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতার জন্য নয়, বরং আত্মার পরিশুদ্ধির জন্যও অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত সুন্নত ও ফরজ গোসল করলে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করতে পারবো।

আরো ইসলামিক আমল ও দোয়া জানতে এখানে ক্লিক করুন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন