পুনরুত্থানের সময় দুই শিংগার মধ্যে ৪০ বছরের ব্যবধান

পুনরুত্থানের সময় দুই শিংগার মধ্যে ৪০ বছরের ব্যবধান


কিয়ামতের দিন বা পুনরুত্থানের সময় একটি বিশেষ ঘটনা ঘটবে, যা কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। কিয়ামত শুরু হবে যখন প্রথমবার শিংগায় ফুঁক দেওয়া হবে, এবং এর ৪০ বছর পর দ্বিতীয়বার শিংগায় ফুঁক দেওয়া হবে, তখন সবাই পুনরুত্থিত হবে। আসুন, পুনরুত্থানের সময় দুই শিংগার মধ্যে ৪০ বছরের ব্যবধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

শিংগায় প্রথম ফুঁৎকার: কিয়ামতের সূচনা

কুরআনে উল্লেখ আছে:

"এবং শিংগায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে, ফলে আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছে, তারা সবাই মারা যাবে, তবে আল্লাহ যাদের বাঁচিয়ে রাখবেন তারা ছাড়া।" (সূরা আজ-যুমার: ৬৮)

এটি হবে প্রথম ফুঁৎকার, যা সমস্ত জীবিত প্রাণীর মৃত্যু ঘটাবে।

দুই শিংগার ফুঁৎকারের মধ্যে ৪০ বছরের ব্যবধান

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"প্রথম ও দ্বিতীয় শিংগার ফুঁৎকারের মধ্যে ৪০ বছরের ব্যবধান থাকবে।" (সহিহ মুসলিম)

এই ৪০ বছর ধরে পৃথিবী সম্পূর্ণ শূন্য থাকবে, কোনো প্রাণী বেঁচে থাকবে না।

দ্বিতীয়বার শিংগার ফুঁৎকার: পুনরুত্থান

এরপর ফেরেশতা ইস্রাফিল (আ.) আবার শিংগায় ফুঁৎকার দেবেন, এবং তখন সবাই পুনরুত্থিত হবে। কুরআনে বলা হয়েছে:

"এরপর আবার শিংগায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে, ফলে সবাই উঠে দাঁড়াবে এবং দেখবে।" (সূরা আজ-যুমার: ৬৮)

এই মুহূর্তেই সমস্ত মানুষ পুনরুজ্জীবিত হবে এবং তাদের কর্মের হিসাব নেওয়া শুরু হবে।

পুনরুত্থানের পর মানুষের অবস্থা

  • মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করবে।

  • প্রত্যেকে তার আমলনামা অনুযায়ী হিসাবের মুখোমুখি হবে।

  • সৎকার্য সম্পন্নকারীরা জান্নাত লাভ করবে, আর পাপীরা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে।

পুনরুত্থান সম্পর্কে আমাদের করণীয়

কিয়ামতের দিন কঠিন হবে, তাই আমাদের উচিত:

  1. নিয়মিত নামাজ আদায় করা।

  2. সৎকর্ম করা এবং পাপ থেকে দূরে থাকা।

  3. আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তিগফার করা।

  4. কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী জীবনযাপন করা।

কিয়ামতের ঘটনা একটি নিশ্চিত সত্য, এবং আমাদের উচিত এর জন্য প্রস্তুত থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই কঠিন দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন