হজমশক্তি শক্তিশালী হলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়া সহজ হয়। অনেক সময় অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু সহজ টিপস মেনে চললে হজমশক্তি বাড়ানো সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকরী টিপস দেওয়া হলো।
১. সুষম খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা
শরীরের হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি, ফল, ওটস এবং দাল খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২. পর্যাপ্ত পানি পান করা
পানি শরীরের পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়া সহজ করে এবং হজমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে যায়।
৩. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা
শারীরিক ব্যায়াম হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং খাবার হজমের প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
৪. ছোট পরিমাণে বার বার খাবার খাওয়া
একসাথে বড় পরিমাণে খাবার না খেয়ে ছোট ছোট পরিমাণে খাবার খান। এটি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে।
৫. খাবারের পর বিরতি নেওয়া
খাবার খাওয়ার পর একদম সোজা হয়ে না বসে, কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা বিশ্রাম নিলে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। ভারী খাবার খাওয়ার পর বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
৬. দই বা প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া
দই বা প্রোবায়োটিক খাবার যেমন কেপির, কিমচি ইত্যাদি হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এতে পেটের ভাল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা খাবার হজম করতে সহায়ক।
৭. মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া
গরম মশলা যেমন আদা, হলুদ, জিরা, এলাচ ইত্যাদি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটের গ্যাস কমাতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
৮. মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হজমশক্তি কমাতে পারে। নিয়মিত যোগব্যায়াম, ধ্যান বা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
উপরের টিপসগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই আপনার হজমশক্তি বাড়াতে পারবেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখলে হজমের সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।