বায়ু দূষণ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ পরিবেশগত সমস্যা। এটি মানবস্বাস্থ্য, প্রাণীকুল এবং প্রকৃতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি, তা যদি বিষাক্ত হয়ে ওঠে, তাহলে জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। নিচে বায়ু দূষণের ১০টি প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো।
১. যানবাহনের ধোঁয়া
গাড়ি, বাস, ট্রাক এবং মোটরসাইকেল থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস।
২. কল-কারখানার নির্গত গ্যাস
শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস যেমন সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইড বায়ু দূষণ সৃষ্টি করে।
৩. ইটভাটার ধোঁয়া
ইট প্রস্তুত করার সময় কাঠ ও কয়লা পুড়িয়ে যে ধোঁয়া নির্গত হয়, তা বায়ুতে বিষাক্ত কণা ছড়ায়।
৪. কাঠ ও বর্জ্য পোড়ানো
গৃহস্থালি বর্জ্য, পাতা, প্লাস্টিক ও কাঠ পোড়ানোর ফলে পরিবেশে দূষিত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে।
৫. নির্মাণ কাজের ধুলা
নির্মাণাধীন ভবন ও রাস্তা থেকে ছড়ানো ধুলিকণা বাতাসে মিশে বায়ু দূষণ বাড়ায়।
৬. কৃষিজ কীটনাশক ও সার
কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে দূষণের সৃষ্টি করে।
৭. জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার
ঘরে বা শিল্পে অতিরিক্ত কয়লা, গ্যাস, ডিজেল ইত্যাদি ব্যবহারে বায়ুতে কার্বন মনোক্সাইড ও অন্যান্য দূষক গ্যাস ছড়ায়।
৮. বনাঞ্চল ধ্বংস
গাছপালা বাতাস বিশুদ্ধ রাখে। বনভূমি নষ্ট হলে বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হয়।
৯. এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস
এসি ও রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC) বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত করে।
১০. খনিজ পদার্থ খনন
কয়লা ও খনিজ পদার্থ উত্তোলনের সময় সৃষ্টি হয় প্রচুর ধুলা ও রাসায়নিক গ্যাস যা বায়ু দূষণের জন্য দায়ী।
উপসংহার:
বায়ু দূষণ রোধে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।