সংক্রামক রোগ বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস কিংবা পরজীবীর মাধ্যমে ছড়ায় এবং দ্রুত একজন থেকে অন্যজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই রোগগুলোর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। নিচে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ১০টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো।
১. নিয়মিত হাত ধোয়া
সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া অনেক সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
২. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা
হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং টিস্যু ব্যবহারের অভ্যাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।
৩. পরিষ্কার পানি পান করা
নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করলে পানিবাহিত সংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেক কমে।
৪. টিকা গ্রহণ করা
প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ অনেক মারাত্মক সংক্রামক রোগ যেমন হাম, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস থেকে রক্ষা করে।
৫. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা
ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরপুর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
৬. দূষিত স্থান এড়িয়ে চলা
অপরিষ্কার ও ভিড়ভাট্টা এলাকা থেকে দূরে থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।
৭. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ভাগ না করা
তোয়ালে, পানির বোতল বা কাপড়সহ ব্যক্তিগত জিনিস অন্যের সাথে ভাগ না করাই ভালো।
৮. সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা
বিশেষ করে ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে মাস্ক একটি কার্যকর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা।
৯. ঘর ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখা
পরিচ্ছন্ন পরিবেশ জীবাণুর বিস্তার রোধ করে এবং বাসার মধ্যে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমায়।
১০. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ভালো ঘুম ও চাপমুক্ত জীবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে।
উপসংহার:
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলাই সবচেয়ে বড় প্রতিকার। নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও সুরক্ষায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন।