ছারপোকা একটি বিরক্তিকর কীট যা বিছানা, সোফা বা ফার্নিচারের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে এবং রাতে ঘুমের সময় শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে। এটি শুধু অস্বস্তি নয়, বরং স্বাস্থ্যঝুঁকিরও কারণ। তাই ছারপোকা দূর করার কার্যকর উপায় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১. ঘর পরিষ্কার ও রোদে শুকানো অভ্যাস করুন
ছারপোকা সাধারণত গরম ও আর্দ্র পরিবেশে বাস করে।
করণীয়:
বিছানার চাদর, বালিশ ও তোশক নিয়মিত রোদে শুকান
ফার্নিচারের ফাঁকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন
ঘর ঝাড়ু ও মোছার সময় কোন কোন কোনা যেন বাদ না যায়
২. গরম পানি ও ভিনেগার স্প্রে করুন
ছারপোকা গরম পানির তাপে মারা যায়। বিছানা ও জামাকাপড় গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
স্প্রে তৈরির উপায়:
১ কাপ ভিনেগার + ১ কাপ পানি মিশিয়ে একটি বোতলে রাখুন
ফার্নিচারের কোণায় ও ছারপোকার সন্ধান পাওয়া যায় এমন স্থানে স্প্রে করুন
৩. ন্যাপথলিন বল ব্যবহার করুন
ন্যাপথলিন বলের গন্ধ ছারপোকা সহ্য করতে পারে না। বিছানার নিচে, কাপড়ের আলমারি ও ফার্নিচারের কোণায় কিছু বল রেখে দিন।
৪. লবণ ও বোরিক পাউডার ছিটিয়ে দিন
লবণ ও বোরিক পাউডার ছারপোকাকে ধ্বংস করতে পারে।
পদ্ধতি:
সমান পরিমাণে লবণ ও বোরিক পাউডার মিশিয়ে ছারপোকার চলাচলের স্থানে ছিটিয়ে দিন
২–৩ দিন পর পরিষ্কার করে আবার প্রয়োগ করুন
৫. নিম পাতা বা নিম তেল ব্যবহার করুন
নিমের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ছারপোকা তাড়াতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ছারপোকার জায়গায় ছিটিয়ে দিন
অথবা নিম তেল স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করুন
৬. সিলিকন বা পেস্ট ব্যবহার করে ফাটল বন্ধ করুন
ছারপোকা সাধারণত দেয়ালের ফাটল, বিছানার কোণা ও ফার্নিচারের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। তাই এসব জায়গা সিলিকন বা অন্য কোন সিলেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দিন।
৭. পেশাদার পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের সাহায্য নিন
যদি ছারপোকার পরিমাণ অনেক বেশি হয় এবং ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়, তাহলে পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসে যোগাযোগ করুন। তারা বিশেষ কীটনাশক ও পদ্ধতিতে সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
উপসংহার: সচেতন থাকলেই ছারপোকামুক্ত ঘর সম্ভব
ছারপোকা দূর করার জন্য নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব। প্রয়োজন হলে পেশাদার সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।
এমন আরও ঘরোয়া টিপস, স্বাস্থ্য ও জীবনধারার তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন:
https://usdate.blogspot.com