হাদিস কি | hadis ki

হাদিস কি | hadis ki


ইসলামের অন্যতম প্রধান জ্ঞানভাণ্ডার হলো হাদিস। হাদিস শব্দটি আরবি "হাদিসুন" থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো কথা, বর্ণনা বা বিবরণ। ইসলামী পরিভাষায়, হাদিস বলতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী, কাজ, সম্মতি ও নীরব অনুমোদনকে বোঝানো হয়। মুসলিম জীবনে হাদিসের গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ তা কুরআনের ব্যাখ্যা এবং ইসলামী বিধানগুলো বোঝার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।


হাদিস কাকে বলে?

হাদিস কাকে বলে—এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের দিকে তাকাতে হবে। তিনি যা বলেছেন, করেছেন এবং কোনো কাজ দেখে চুপ থেকেছেন (অর্থাৎ মেনে নিয়েছেন)—এই সবকিছুকেই হাদিস বলা হয়। হাদিস মূলত দুই ভাগে বিভক্ত:

  1. সাহিহ হাদিস – বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত।

  2. দাঈফ ও জঈফ হাদিস – দুর্বল সূত্র বা বর্ণনাকারীর ভুলের কারণে কম নির্ভরযোগ্য।

হাদিস সংকলন করেছেন বহু ইমামগণ, যেমন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিজি প্রমুখ।


হাদিস ও কুরআনের পার্থক্য

হাদিস ও কুরআন উভয়ই ইসলামের মৌলিক উৎস হলেও এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

  1. উৎস: কুরআন সরাসরি আল্লাহর বাণী, আর হাদিস রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও বক্তব্যের বিবরণ।

  2. সংরক্ষণ প্রক্রিয়া: কুরআন জিবরাইল (আ.) মারফত নাজিল হয় ও সাহাবারা সংরক্ষণ করেন। হাদিস বিভিন্ন সাহাবি ও তাবেঈন বর্ণনা করেছেন এবং পরবর্তীতে সংকলিত হয়েছে।

  3. আবশ্যকতা: কুরআন তিলাওয়াত করা ইবাদত, আর হাদিস কুরআনের ব্যাখ্যা ও বাস্তব প্রয়োগ বোঝার মাধ্যম।

  4. ভাষার ধরন: কুরআনের ভাষা অলৌকিক এবং অপরিবর্তনীয়; হাদিসের ভাষা সাধারণভাবে কথ্য ভাষায় বলা হয়েছে।

উভয়ের সম্মিলনে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ হয়। তাই কুরআনের সঙ্গে হাদিস জানা এবং তা অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।


আরও ইসলামিক বিষয়ভিত্তিক তথ্য জানতে usdate.blogspot.com ঘুরে আসতে পারেন।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন