পাইলস (Piles) বা অর্শ হলো একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর রোগ, যা মূলত মলদ্বারে রক্তনালীর ফোলাভাব বা শিরার প্রদাহজনিত সমস্যা। এটি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক – এই দুই ধরণের হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করলে পাইলস সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এই ব্লগে আমরা জানব পাইলস এর প্রাথমিক ওষুধ, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং উপকারী কিছু টিপস।
পাইলসের কারণ
দীর্ঘ সময় বসে থাকা
কোষ্ঠকাঠিন্য
অতিরিক্ত চাপে মলত্যাগ
কম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
গর্ভাবস্থা
অতিরিক্ত ওজন
পাইলস এর লক্ষণ
মলত্যাগের সময় রক্তপাত
মলদ্বারে ব্যথা ও চুলকানি
ফুলে ওঠা বা গাঁটে পরিণত হওয়া
মলত্যাগের সময় অস্বস্তি
পাইলস এর চিকিৎসা পদ্ধতি
১. ঔষধ ও ট্যাবলেট
২. লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা
৩. লাইফস্টাইল পরিবর্তন
৪. সার্জারি (যদি প্রয়োজন হয়)
পাইলস এর কার্যকরী ঔষধের নাম
১. ডায়োসমিন (Diosmin)
রক্তনালীর কার্যকারিতা বাড়িয়ে ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়।
২. হেমোফ্লো (Hemoflow)
প্রাকৃতিক ওষুধ যা ফ্লাভোনয়েডস দিয়ে তৈরি। এটি পাইলস নিরাময়ে জনপ্রিয়।
৩. অ্যানাসোল সাপোজিটরি (Anusol Suppository)
বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পাইলসের ব্যথা ও জ্বালাভাব কমাতে ব্যবহৃত হয়।
৪. লিডোকেইন ভিত্তিক ক্রিম
ব্যথা ও জ্বালাপোড়া থেকে তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।
৫. হোমিওপ্যাথিক ঔষধ (Nux Vomica, Hamamelis)
প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হতে পারে।
পাইলস প্রতিরোধে যা করবেন
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আঁশযুক্ত খাবার খান
দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকবেন না
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
তেলচর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসা নিন
উপসংহার
পাইলস কোনো জটিল রোগ না হলেও অবহেলা করলে তা বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। তাই প্রাথমিক অবস্থায়ই সঠিক চিকিৎসা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এমন আরও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ও টিপস পেতে ভিজিট করুন আমাদের ব্লগ।