ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার ও মর্যাদা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন ও হাদিসে বারবার প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার, সহানুভূতি ও সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। একজন প্রকৃত মুসলমান শুধু নিজের জন্য নয়, বরং প্রতিবেশীর শান্তিও নিশ্চিত করে। চলুন হাদিসের আলোকে প্রতিবেশীর হক ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানি।
প্রতিবেশীর ওপর সদ্ব্যবহারের নির্দেশ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশীর বিষয়ে এতবার উপদেশ দিলেন যে আমি মনে করলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকেও ওয়ারিস বানিয়ে দেবেন।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০১৪)
এই হাদিসে বোঝা যায়, প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার ইসলামে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেশীর ক্ষতি করা হারাম
রাসুল (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর কষ্টের কারণ হয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৬)
এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, কারো দ্বীনদারি তখনই পূর্ণ হবে যখন সে প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল হবে।
প্রতিবেশীর ক্ষুধার্ত থাকা আর নিজের পরিপূর্ণ থাকা
রাসুল (সা.) বলেন:
“সে ব্যক্তি মু’মিন নয় যে নিজে পেটভরে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে।”
(সুনান আল-কুবরা, বাইহাকি)
এই হাদিসে সমাজে সমতা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার শিক্ষা রয়েছে।
প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার জান্নাতের উপায়
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“তুমি যদি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখো, তবে তোমার প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০১৮)
আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসের অন্যতম বাস্তব প্রমাণ হলো—প্রতিবেশীর প্রতি সদ্ব্যবহার।
উপসংহার: প্রতিবেশীর হক আদায় করাও ইবাদত
হাদিসের আলোকে স্পষ্ট যে, প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়; বরং ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভালো মুসলমান হতে চাইলে আমাদের উচিত, প্রতিবেশীর উপকার করা, তার দুঃখে পাশে দাঁড়ানো এবং কখনোই তার ক্ষতি না করা।
আরও ইসলামিক জীবনঘনিষ্ঠ লেখা পেতে ভিজিট করুন:
https://usdate.blogspot.com