ইসলামে স্ত্রী-স্বামী সম্পর্ক শুধু সামাজিক বন্ধন নয়; বরং এটি একটি পবিত্র ইবাদত ও দায়িত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কুরআন ও হাদিসে দাম্পত্য জীবনে প্রেম, সম্মান ও দায়িত্বশীলতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা হাদিসের আলোকে স্ত্রী-স্বামীর সম্পর্ক কীভাবে হওয়া উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব সম্পর্কে হাদিস
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“যদি আমি কাউকে অন্য কারো প্রতি সিজদা করার আদেশ করতাম, তাহলে আমি স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি সিজদা করতে বলতাম।”
(তিরমিজি, হাদিস: ১১৫৯)
এই হাদিসে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর আনুগত্য ও সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম আচরণ করে।”
(তিরমিজি, হাদিস: ৩৮৯৫)
এই হাদিসে দেখা যায়, একজন মানুষের আসল চরিত্র বোঝা যায় তার স্ত্রীকে কেমন আচরণ করে, তার মাধ্যমে।
স্ত্রী-স্বামীর মাঝে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:
“আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।”
(সূরা রূম, আয়াত: ২১)
এই আয়াত ও বহু হাদিসের আলোকে জানা যায়, দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি হতে হবে ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববোধ।
স্বামীর হক আদায় করা স্ত্রীর জান্নাতের কারণ
রাসুল (সা.) বলেন:
“যে স্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, স্বামীর নির্দেশ মেনে চলে এবং সতীত্ব রক্ষা করে, সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা করবে, সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।”
(ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৪১৬৩)
এটি প্রমাণ করে, একজন ধর্মপরায়ণ স্ত্রী তার স্বামীর সন্তুষ্টির মাধ্যমে জান্নাত লাভ করতে পারে।
উপসংহার: পারস্পরিক সম্মানেই সুখী দাম্পত্য জীবন
হাদিসের আলোকে স্ত্রী-স্বামী সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান, দায়িত্বশীলতা, ভালোবাসা ও ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে গঠিত হওয়া উচিত। এমন সম্পর্কই দাম্পত্য জীবনে শান্তি আনে এবং জান্নাতের পথ সুগম করে।
আরও ইসলামিক জ্ঞানমূলক লেখা পড়তে ভিজিট করুন: https://usdate.blogspot.com