কোরবানির ঈদে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করা হয়। এ সময় সুন্নত অনুযায়ী দোয়া পড়ে জবাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানতে চান—কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া কী? নিচে আমরা দোয়ার আরবি, বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ তুলে ধরছি।
কোরবানির পশু জবাই করার আগে যেসব নিয়ম অনুসরণ করতে হয়
পশু জবাই করার আগে কিছু সুন্নত ও নিয়ম রয়েছে, যেমন:
পশুকে ভালোভাবে পানি খাওয়ানো
পশুকে কিবলার দিকে শোয়ানো
জবাই করার আগে নিচের দোয়া পাঠ করা
ধারালো ছুরি ব্যবহার করা
“বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার” বলে জবাই করা
কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া (আরবি, উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ)
আরবি দোয়া:
بِسْمِ اللّٰهِ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُمَّ هٰذَا مِنْكَ وَلَكَ
বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা হা-জা মিংকা ওয়া লাকা
বাংলা অর্থ:
“আল্লাহর নামে শুরু করছি, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এ পশুটি তোমারই পক্ষ থেকে এবং তোমারই জন্য।”
এই দোয়া পাঠ করে পশু কোরবানি করা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ কাজ।
কোরবানির সময় জবাইকারী কী বলবে?
জবাইকারী ব্যক্তি বলবে:
“বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার”
(অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান)
এটি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা অনুযায়ী সুন্নত।
নারী বা শিশু কি কোরবানির দোয়া পড়তে পারবে?
হ্যাঁ, কোরবানির সময় পাশে থাকলে নারী ও শিশুরাও দোয়া পড়তে পারে বা মনে মনে নিয়ত করতে পারে। তবে জবাই করার কাজটি সক্ষম পুরুষ মুসলিম কর্তৃক হওয়া উত্তম।
কোরবানির সময় নিয়ত করার নিয়ম
নিয়ত করার সময় মনে মনে এই কথা বলবেন:
“আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করছি।”
মুখে উচ্চারণ করাও জায়েজ, তবে মূল নিয়ত মনে করা জরুরি।
উপসংহার: দোয়ার মাধ্যমে কোরবানি হোক আরো বরকতময়
কোরবানির পশু জবাই করার দোয়া কেবল একটি বাক্য নয়, বরং এর মাধ্যমে কোরবানিকে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করার নিয়ত প্রকাশ করা হয়। কোরবানি যেন শুধু এক আনুষ্ঠানিকতা না হয়, বরং তা যেন হয় তাওহিদের পরিচয় ও তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ।