ইসলাম ধর্মে প্রতিটি বাক্য ও শব্দের গভীর তাৎপর্য রয়েছে। মুসল্লিরা যখন সিজদায় যান, তখন তারা উচ্চারণ করেন: “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা”। এই বাক্যটির অর্থ ও তাৎপর্য অনেক গভীর এবং তা মুসলমানদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নিই এই পবিত্র বাক্যটির অর্থ ও গুরুত্ব।
সুবহানা রাব্বিয়াল আলা - শব্দ বিশ্লেষণ
এই বাক্যটি মূলত তিনটি শব্দ নিয়ে গঠিত:
সুবহানা (سبحان): পবিত্র বা মহিমান্বিত
রাব্বি (ربي): আমার প্রভু
আল-আলা (الأعلى): সর্বোচ্চ, মহান
তাই “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” এর পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায়:
“সর্বোচ্চ মহান আমার প্রভু পবিত্র”।
সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বলার গুরুত্ব
সিজদা মুসলমানদের নামাজের এমন একটি স্তর, যেখানে মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। এই সময়ে “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলা সুন্নত। এটি আল্লাহর পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে। রাসূল (সা.) নিজেও সিজদার সময় এই দোয়া পাঠ করতেন।
আল কুরআনে ‘আলা’ নামের গুরুত্ব
আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নামের মধ্যে “আল-আলা” একটি নাম, যার অর্থ ‘সর্বোচ্চ’। সূরা আল-আলায় এই নামটি উল্লেখ রয়েছে। এই নামের মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, আল্লাহ তাঁর সৃষ্ট সব কিছুর উপরে অবস্থান করছেন এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ।
সুবহানা রাব্বিয়াল আলা – আমাদের জীবনে প্রভাব
এই বাক্যটি শুধু নামাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি একজন মুসলমানকে আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ করিয়ে দেয় প্রতিনিয়ত। এটি হৃদয়ে নম্রতা ও শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করে এবং মানুষের ইবাদতে আন্তরিকতা আনে।
উপসংহার
“সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবোধক ইসলামী বাক্য। এটি শুধু সিজদার দোয়া নয়, বরং আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা। মুসলমানদের উচিত এই দোয়ার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করে তা মনোযোগ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারণ করা।