ইসলামের ইতিহাসে সাহাবীদের মর্যাদা অপরিসীম। বিশেষ করে যাঁরা দুনিয়াতে জীবিত অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন, তাঁদের স্থান সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন। এই প্রবন্ধে আমরা জানব সেই ২০ জন সৌভাগ্যবান সাহাবীর নাম, যাঁদেরকে রাসূল (সা.) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন।
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবীরা কারা?
রাসূলুল্লাহ (সা.) বহু সাহাবীর প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। এদের মধ্য থেকে ১০ জন সাহাবীকে ‘আশারায়ে মুবাররাহ’ বলা হয়। এছাড়াও আরও অনেক সাহাবী বিভিন্ন সময়ে জান্নাতের সংবাদ পেয়েছেন।
আশারায়ে মুবাররাহ – সেই ১০ জন সাহাবী
১. আবু বকর আস-সিদ্দিক (রা.)
২. উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)
৩. উসমান ইবনু আফফান (রা.)
৪. আলী ইবনু আবু তালিব (রা.)
৫. তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.)
৬. জুবায়ের ইবনে আওয়াম (রা.)
৭. আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.)
৮. আবু উবায়দাহ ইবনে জাররাহ (রা.)
৯. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)
১০. সাইদ ইবনে যায়দ (রা.)
অন্য আরও ১০ জন জান্নাতপ্রাপ্ত সাহাবীর নাম
১১. বেলাল ইবনে রবাহ (রা.)
১২. খুবাইব ইবনে আদী (রা.)
১৩. আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.)
১৪. সেলমান আল-ফারসী (রা.)
১৫. উকাসা ইবনে মিহসান (রা.)
১৬. ফাতিমা (রা.) – রাসূল (সা.) এর কন্যা
১৭. হাসান (রা.)
১৮. হুসাইন (রা.)
১৯. আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.)
২০. হারিসা ইবনে মালিক (রা.)
জান্নাতের সুসংবাদ কিভাবে মিলেছিল সাহাবীদের?
বিভিন্ন ঘটনা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, সাহাবীদের ঈমান, ত্যাগ ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাসূল (সা.) তাঁদের জান্নাতের সংবাদ দেন। এই ঘোষণা আল্লাহর ওহীর মাধ্যমেই হতো।
এই সাহাবীদের জীবন থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
এই সাহাবীদের জীবনের প্রধান শিক্ষাগুলো হলো:
ঈমানের দৃঢ়তা
রাসূল (সা.) এর প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য
ত্যাগ ও কোরবানির মনোভাব
দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত থাকা
উপসংহার
জান্নাতপ্রাপ্ত সাহাবীগণ আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা। তাঁদের জীবন অনুসরণ করলেই আমাদের ঈমান মজবুত হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হবে। তারা যে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন, তা তাঁদের মহান ত্যাগ, চরিত্র ও আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠারই প্রতিফলন।