ইসলামে ভালো আচরণ (আখলাক) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ। কুরআন ও হাদিসে উত্তম চরিত্র ও আচরণকে ইমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন উত্তম চরিত্রের জীবন্ত উদাহরণ। এই প্রবন্ধে আমরা ভালো আচরণ নিয়ে বিভিন্ন সহিহ হাদিস তুলে ধরবো।
ভালো আচরণ ইমানের নিদর্শন
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে উত্তম, যার চরিত্র সবচেয়ে ভালো।”
(সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিস আমাদের শেখায় যে, একজন মুসলমানের উত্তম চরিত্রই তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ।
সুন্দর ব্যবহার আল্লাহর কাছে প্রিয়
রাসুল (সা.) বলেন:
“আল্লাহর কাছে প্রিয় সেই ব্যক্তি, যে চরিত্রে উত্তম এবং মানুষদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।”
(তিরমিজি, হাদিস: ২০০২)
এই হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ভালো ব্যবহার আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম।
ভালো আচরণের প্রতিদান
হাদিসে এসেছে:
“মু’মিন তার ভালো আচরণের কারণে দিনের বেলা রোজা রাখা ও রাত জেগে নামাজ পড়ার সমান সওয়াব লাভ করে।”
(আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৯৮)
এই হাদিসে দেখা যায়, সদাচরণ শুধু দুনিয়াতেই নয়, আখিরাতেও বড় পুরস্কারের কারণ।
রাসুল (সা.) এর মিশনই ছিল চরিত্র উন্নয়ন
তিনি বলেন:
“আমি উত্তম চরিত্র সম্পূর্ণ করতে প্রেরিত হয়েছি।”
(মুয়াত্তা ইমাম মালিক)
এটি প্রমাণ করে যে ইসলামের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মানুষের চরিত্র গঠনে সহায়তা করা।
উপসংহার: ভালো আচরণে গড়ে উঠে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ
ভালো আচরণ কেবল একজন ব্যক্তির গুণ নয়, এটি সমাজ গঠনের একটি মৌলিক উপাদান। হাদিসে বারবার উত্তম আচরণ, নম্রতা, ধৈর্য ও সহানুভূতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা যদি হাদিস অনুযায়ী চলি, তাহলে একটি মানবিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন সম্ভব।
আরও ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক আর্টিকেল পেতে ঘুরে আসুন: https://usdate.blogspot.com