ইসলামে দান ও সদকা একটি মহান ইবাদত। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বারবার দান করার গুরুত্ব এবং এর প্রতিদান সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা সহিহ হাদিসের আলোকে দান ও সদকার ফজিলত, নিয়ম ও উপকারিতা তুলে ধরবো।
দান সদকার ফজিলত নিয়ে হাদিস
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করে। একজন বলেন: ‘হে আল্লাহ! দানকারীর সম্পদে বরকত দাও।’ আর অন্যজন বলেন: ‘হে আল্লাহ! কৃপণের ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দাও।’”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৪৪২)
এই হাদিস প্রমাণ করে, দানকারীর জন্য ফেরেশতা দোয়া করেন এবং কৃপণতার জন্য ধ্বংস কামনা করা হয়।
দান গোপনে করার গুরুত্ব হাদিসে
রাসুল (সা.) বলেন:
“সাত শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়ায় রাখবেন… তাদের মধ্যে একজন হলো, এমন ব্যক্তি যে ডান হাতে এত গোপনে সদকা করে যে তার বাম হাতও তা জানতে পারে না।”
(সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিসে গোপনে দান করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, যা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়।
দান সম্পদের অভিশাপ নয়, বরং বরকতের কারণ
নবী করিম (সা.) বলেন:
“দানের কারণে সম্পদ কখনো কমে না। বরং আল্লাহ দানের মাধ্যমে সম্পদে বরকত দেন।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)
অনেকেই মনে করেন দান করলে সম্পদ কমে যায়, কিন্তু হাদিস বলে এর বিপরীত। দান বরং ধন-সম্পদে বরকত এনে দেয়।
দান ও সদকা আত্মশুদ্ধির উপায়
আল্লাহ বলেন:
“তাদের সম্পদ থেকে দান নাও, যার দ্বারা তুমি তাদের পবিত্র করো ও পরিশুদ্ধ করো।”
(সূরা তওবা, আয়াত: ১০৩)
এই আয়াত ও হাদিস প্রমাণ করে দান ও সদকা আত্মাকে পবিত্র করে এবং ঈমানকে দৃঢ় করে।
উপসংহার: দান সদকার গুরুত্ব চিরন্তন
দান ও সদকা শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, এটি একটি ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। হাদিসে দানের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে, যা আমাদেরকে উদার ও দায়িত্বশীল জীবন যাপনে উৎসাহিত করে। চলুন, আমরা সবাই দান ও সদকা করার অভ্যাস গড়ে তুলি।
আরও ইসলামিক আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন: https://usdate.blogspot.com