এপেন্ডিসাইটিস হলো পেটে হঠাৎ করেই তীব্র ব্যথা হওয়ার একটি জরুরি অবস্থা, যা এপেন্ডিক্সের প্রদাহের কারণে হয়। এটি চিকিৎসা না করলে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এপেন্ডিসাইটিস হলে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুব জরুরি। আজকের আর্টিকেলে জানুন এপেন্ডিসাইটিস হলে করণীয় ও লক্ষণসমূহ।
এপেন্ডিসাইটিস কী এবং এর কারণ কী?
এপেন্ডিসাইটিস হলো একটি ছোট্ট নলাকার অঙ্গ ‘এপেন্ডিক্স’-এর প্রদাহ। এর কারণ হতে পারে:
এপেন্ডিক্সের ভিতরে সংক্রমণ বা ফুসকুড়ি
খাদ্যকণা বা পরিপাকতন্ত্রের বর্জ্যের আটকে যাওয়া
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
পেটের অন্য কোনো প্রদাহজনিত সমস্যা
এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলো কী কী?
এপেন্ডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
পেটের ডান দিকের নিচে তীব্র ব্যথা
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
বমি ও পেট ফাঁপা লাগা
জ্বর আসা
খাবার খেতে অনিচ্ছা হওয়া
হালকা মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা
এপেন্ডিসাইটিস হলে করণীয় প্রথম ধাপ
যদি এপেন্ডিসাইটিসের উপসর্গ দেখা দেয়:
দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে যান
নিজে থেকে ওষুধ খাবেন না বা ব্যথা কমানোর চেষ্টা করবেন না
বিশ্রাম নিন, তবে হঠাৎ ঘোরাফেরা এড়িয়ে চলুন
পেট চাপিয়ে বা গরম সেঁক দিন না
পানীয় অবশ্যই নিন, তবে ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন
চিকিৎসা পদ্ধতি ও সেরে উঠার সময়
এপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত অপারেশন (এপেনডেকটমি) করা হয়। এর মাধ্যমে এপেন্ডিক্স সরিয়ে ফেলা হয়। দ্রুত চিকিৎসা নিলে পুনরুদ্ধার ভালো হয়। চিকিৎসার পরে:
হাসপাতালের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রাম নিন
ব্যথা কমানোর জন্য ঔষধ নিন
সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন
হালকা খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন
এপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধের জন্য করণীয়
যদিও এপেন্ডিসাইটিস সবসময় প্রতিরোধযোগ্য নয়, তবুও কিছু সাধারণ বিষয় অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমে:
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার খান
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন বজায় রাখুন
শেষ কথা
এপেন্ডিসাইটিস হলে করণীয় বিষয়টি সকলের জানা জরুরি, কারণ দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে জীবন রক্ষা সম্ভব। পেটের যেকোনো তীব্র ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
আরও স্বাস্থ্য টিপস ও জরুরি তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন 👉 usdate.blogspot.com