পুরুষদের মধ্যে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর উপসর্গ। এটি শরীরে নানা সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে, বিশেষ করে মূত্রনালি সংক্রান্ত রোগের। আসুন জেনে নিই এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সাধারণ কারণ
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে, যেমন:
মূত্র tract সংক্রমণ (UTI): এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ, যেখানে ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালিতে সংক্রমণ ঘটায়।
যৌনবাহিত রোগ (STD): গনোরিয়া, ক্ল্যামিডিয়া ইত্যাদি সংক্রমণেও এই সমস্যা হতে পারে।
প্রস্টেট সমস্যা: প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে তা মূত্রনালিতে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়।
কিডনির পাথর: প্রস্রাবের পথে পাথর থাকলে তা ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, ফলে জ্বালাপোড়া হয়।
অ্যাজিডিক খাবার ও কম পানি পান: দেহে পানির অভাব বা অতিরিক্ত মসলা ও অ্যাসিডিক খাবার খেলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লক্ষণসমূহ যা উপেক্ষা করা ঠিক নয়
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি যদি নিচের যেকোনো লক্ষণ দেখা যায়, তবে তা গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে:
প্রস্রাবে রক্ত দেখা যাওয়া
বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া
জ্বর বা শরীর ব্যথা
কোমর ব্যথা
প্রস্রাব আটকে যাওয়া বা জোরে না আসা
চিকিৎসা ও প্রতিকার
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিচে কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
অ্যান্টিবায়োটিক: যদি ইনফেকশন হয়, তবে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
পর্যাপ্ত পানি পান: দিনে ২-৩ লিটার পানি খেলে ইনফেকশন ও বিষাক্ত পদার্থ সহজে বের হয়ে যায়।
ক্ষারযুক্ত খাবার খাওয়া: কলা, তরমুজ, ডাবের পানি—এগুলো মূত্রের অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
যৌন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা: STD এড়াতে সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক রাখা জরুরি।
প্রতিরোধের উপায়
নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা
প্রস্রাব চেপে না রাখা
যৌনাঙ্গ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
যৌন মিলনের আগে ও পরে প্রস্রাব করা
সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া
📝 বিশেষ সতর্কতা: যদি জ্বালাপোড়া ২-৩ দিনের মধ্যে না কমে, অথবা রক্ত বা জ্বর দেখা দেয়, তবে দেরি না করে একজন ইউরোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য পেতে ভিজিট করুন:
👉 https://usdate.blogspot.com