ইসলামে হাসি একটি উত্তম চরিত্রের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ছিলেন সদা হাস্যজ্জ্বল এবং মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতেন। অনেক সহিহ হাদিসে হাসি এবং সদাচরণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা সেইসব হাদিস তুলে ধরবো যা প্রমাণ করে—হাসি একটি সওয়াবের কাজ।
রাসুল (সা.)-এর হাস্যোজ্জ্বল আচরণ
আব্দুল্লাহ ইবন হারিস (রা.) বলেন:
“আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মতো এত বেশি হাস্যোজ্জ্বল কাউকে দেখিনি।”
(তিরমিজি, হাদিস: ৩৬৪১)
এটি প্রমাণ করে, ইসলামের সর্বোত্তম আদর্শ ব্যক্তি ছিলেন সদা হাসিখুশি। তিনি কখনো কঠোর ব্যবহার করতেন না।
ভালো ব্যবহার ও হাসির ফজিলত
রাসুল (সা.) বলেন:
“তোমার ভাইয়ের মুখে হাসি ফোটানোও একটি সদকা।”
(তিরমিজি, হাদিস: ১৯৫৬)
এই হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কারও মুখে হাসি ফোটানো বা নিজে হাসিমুখে কথা বলা ইসলামী দৃষ্টিতে সওয়াবের কাজ।
হাসি ও বিনয়—ইসলামী ব্যক্তিত্বের অংশ
রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা করতেন এবং কখনো কারো প্রতি তাচ্ছিল্য করতেন না। এ বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে:
“তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও ইমানের অঙ্গ।”
(সহিহ মুসলিম)
ইসলামে তাই অহংকার না করে নম্রতা ও হাসিমুখে ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত হাসি থেকে সাবধানতা
ইসলাম হাসিকে উৎসাহ দিলেও, অতিরিক্ত হাসি সম্পর্কে হুঁশিয়ার করেছে। রাসুল (সা.) বলেন:
“অত্যধিক হাসি হৃদয়কে মৃত করে দেয়।”
(তিরমিজি, হাদিস: ২৩০৪)
এই হাদিস আমাদের শেখায়, হাসি অবশ্যই করা উচিত, তবে সীমার মধ্যে থেকে।
উপসংহার: হাসিমুখে জীবন গঠন করুন হাদিসের আলোকে
ইসলামে হাসিকে শুধু এক ধরনের সামাজিক সৌন্দর্য নয়, বরং ইবাদতের পর্যায়ে দেখা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ও হাদিসে হাসিমুখে থাকা, ভালো ব্যবহার করা এবং মানুষকে আনন্দ দেওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা যদি তার পথ অনুসরণ করি, তবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা হবে।
আরও ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক আর্টিকেল পড়তে ভিজিট করুন: https://usdate.blogspot.com