মুখে ঘা হলে কি ঔষধ ব্যবহার করবেন | mukhe gha hole ki korbo

মুখে ঘা হলে কি ঔষধ ব্যবহার করবেন | mukhe gha hole ki korbo


মুখের ঘা বা মুখের ভেতরে ফুসকুড়ি অনেকেরই পরিচিত একটি সমস্যা। এটি খাওয়া, কথা বলা এমনকি হাসতেও সমস্যা সৃষ্টি করে। কখনো কখনো ব্যথা এতটাই হয় যে নরমাল খাওয়া-দাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে কী কী ঔষধ ব্যবহার করা যায় তা জানা জরুরি।

মুখে ঘা হওয়ার কারণ কী?

মুখে ঘা হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ হলো:

  • ভিটামিন B ও আয়রনের ঘাটতি

  • গরম খাবার বা অসাবধানতায় কামড়ে লাগা

  • হরমোনের পরিবর্তন

  • মানসিক চাপ ও অনিদ্রা

  • ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ

  • দাঁতের ব্রাশ দিয়ে ক্ষত সৃষ্টি

কারণ অনুসারে চিকিৎসা করলেই এই সমস্যা দ্রুত ভালো হতে পারে।

মুখে ঘার জন্য সাধারণত ব্যবহৃত ঔষধ

নিচে কিছু প্রচলিত ও কার্যকর মুখের ঘার ঔষধের নাম দেওয়া হলো, যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা যায়:

১. Bexident Oral Gel

ব্যথা কমানো এবং ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়ক।

২. Bonjela Gel

ব্যথা ও জ্বালাভাব কমায় এবং ক্ষতস্থানে আরাম দেয়।

৩. Kenacort Gel (Triamcinolone Acetonide)

প্রেসক্রিপশন ওষুধ, যা মুখের ঘা ও ইনফ্লামেশন কমাতে কার্যকর।

৪. Metronidazole Gel (Metrogyl)

ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণজনিত মুখের ঘার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

৫. Vitamin B Complex ট্যাবলেট

ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে, যা ঘা প্রতিরোধে কাজ করে।

প্রাকৃতিক উপায়ে মুখের ঘা উপশম করা যায় কীভাবে?

ঔষধ ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মুখের ঘা উপশমে সহায়তা করতে পারে:

  • লবণ পানি দিয়ে কুলি করা

  • নারকেল তেল ঘায়ে লাগানো

  • মধু ও তুলসী পাতার রস ব্যবহার

  • ঠাণ্ডা দই খাওয়া

এসব পদ্ধতি ক্ষতস্থানে জীবাণু রোধ ও ব্যথা উপশমে কার্যকর।

মুখে ঘা হলে যা করা থেকে বিরত থাকবেন

  • ঝাল, টক ও গরম খাবার খাওয়া

  • ঘা স্থানে বারবার স্পর্শ করা

  • অতিরিক্ত কড়া টুথপেস্ট ব্যবহার

  • মুখ পরিষ্কার না রাখা

এই ভুলগুলো করলে ঘা আরও খারাপ হতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ কখন নেওয়া উচিত?

  • যদি ঘা ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয়

  • বারবার ঘা দেখা দেয়

  • ঘা থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হয়

  • মুখের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে

এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

উপসংহার

মুখে ঘা একটি অস্বস্তিকর সমস্যা হলেও সঠিক ঔষধ ও যত্নের মাধ্যমে তা দ্রুত ভালো করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মলম বা ঔষধ ব্যবহার না করাই ভালো। মুখ পরিষ্কার রাখা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা মুখের ঘা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন