১ মাস বয়সী শিশুর পায়খানা না হওয়া অনেক সময় স্বাভাবিক হতে পারে, বিশেষ করে যদি শিশু বুকের দুধ খায়। তবে তিন দিনের বেশি সময় যদি পায়খানা না হয়, তা হলে তা হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। এটি শিশুর জন্য অস্বস্তিকর হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাময়িক ও সহজেই প্রতিকারযোগ্য।
সম্ভাব্য কারণসমূহ
১ মাসের শিশুর পায়খানা না হওয়ার পেছনে কিছু সাধারণ কারণ:
শুধু বুকের দুধ খাওয়া: অনেক সময় বাচ্চারা পুরো দুধ হজম করে ফেলে, ফলে বর্জ্য তৈরি হয় না।
পানির ঘাটতি: বাচ্চার শরীরে পানির ঘাটতি হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
পেটের হজম সমস্যাঃ হজমশক্তি দুর্বল হলে পায়খানা আটকে থাকতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল অস্বাভাবিকতা: খুব কম ক্ষেত্রে কোনো জন্মগত সমস্যা পেটের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
লক্ষণ যেগুলো দেখে সতর্ক হবেন
বাচ্চা পায়খানা করতে গিয়ে কষ্ট পাচ্ছে
পেট ফুলে যাচ্ছে
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বস্তি
বাচ্চার ক্ষুধা কমে যাওয়া
পায়খানা খুব শক্ত বা শুকনো হওয়া
১ মাসের বাচ্চার পায়খানা না হলে করণীয়
১. ডাক্তারের পরামর্শ নিন: নিজে কোনো ওষুধ বা ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ না করে প্রথমেই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. পেটের হালকা ম্যাসাজ করুন: নাভির চারপাশে হালকা তেল ম্যাসাজ করলে পেটের গ্যাস কমে ও পায়খানার প্রবাহ স্বাভাবিক হয়।
3. ‘বাইসাইকেল মুভমেন্ট’ ব্যায়াম: শিশুর দুই পা হাত দিয়ে ধরে আস্তে আস্তে বাইসাইকেল চালানোর মতো নাড়াচাড়া করলে অন্ত্রের কার্যকলাপ উন্নত হয়।
4. তাপমাত্রা পরীক্ষা: অনেক সময় হালকা গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে শিশুর পায়ুপথে আলতো করে স্পর্শ করলে পায়খানা হতে পারে (তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই করুন)।
কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি
তিন দিনের বেশি সময় পায়খানা না হলে
পেট ফুলে থাকলে বা বাচ্চা কষ্ট পেলে
পায়খানায় রক্ত দেখা গেলে
বাচ্চার ওজন কমে যেতে থাকলে
পায়খানা বন্ধে ঘরোয়া টোটকা: বিপদ নাকি উপকার?
অনেকে ঘরোয়া উপায় যেমন গরম তেল, গুড়, মধু ইত্যাদি শিশুকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু ১ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে এসব করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এই বয়সে কেবল বুকের দুধই শিশুর একমাত্র খাবার হওয়া উচিত।
উপসংহার
১ মাসের শিশুর পায়খানা না হওয়া সব সময় চিন্তার বিষয় নয়, তবে লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঘরোয়া উপায় বা ওষুধ প্রয়োগ করবেন না। আপনার শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে শিশুর ছোট ছোট আচরণ ও পরিবর্তনের প্রতি নজর রাখুন।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও যত্ন নিয়ে আরও তথ্য পেতে ভিজিট করুন: usdate.blogspot.com